ঢাকাসোমবার , ২৮ জুন ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শুধু আইসিইউ নয়, জেনারেল বেডেও জায়গা হচ্ছে না রোগীদের

প্রতিবেদক
সিএনএ

জুন ২৮, ২০২১ ৯:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৩৬৪ জন, যা কিনা দেশের মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে গত ৭ এপ্রিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সাত হাজার ৬২৬ জন রোগী একদিনে শনাক্ত হয়েছিল। তখন পর্যন্ত দেশে সেটাই ছিল করোনা শনাক্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা। কিন্তু আজ সেই সংখ্যাও অতিক্রম করেছে।

সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের দিনে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০৪ জন, যা কিনা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মৃত্যুতে একশ’ ছাড়ালো। গতকাল (২৭ জুন) মহামারিকালে সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রোগী শনাক্ত এবং মৃত্যুর এই ঊর্ধ্বগতিতে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোতে শয্যার সংকট দেখা যাচ্ছে।

রাজধানী ঢাকার করোনা ডেডিকেটেড অন্যতম চার হাসপাতালেই কোনও আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ফাঁকা নেই। এগুলো হলো, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

সোমবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০টি আইসিইউ বেড, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০টি বেড, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০টি বেডের সবক’টিতে রোগীতে ভর্তি। এরমধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার ২৭৫ সাধারণ শয্যাতে অতিরিক্ত সাত জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

এছাড়াও ডেডিকেটেড কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ২৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে চারটি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ বেডের মধ্যে নয়টি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ছয় বেডের মধ্যে ছয়টি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ বেডের মধ্যে দুটি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০টি বেডের মধ্যে দুটি, ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালের পাঁচটি আইসিইউ বেডের মধ্যে তিনটি, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০টি বেডের মধ্যে চারটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের মধ্যে তিনটি আর ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালের ২১২ আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১২০টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, রোগী সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে হাসপাতালগুলোতে এখনও কিছুটা বেড ফাঁকা থাকলেও সেটা ক্রমেই রোগীতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। আর সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে রোগী সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com