ঢাকাশনিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘুষের টাকা না দেওয়ায় ঘর ভাঙার অভিযোগ ফরেস্টার আসলামের বিরুদ্ধে

প্রতিবেদক
সিএনএ

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১ ১:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বনবিভাগের জায়গায় বাড়ি করার সুযোগ দিয়ে কক্সবাজার সদর রেঞ্জ আওতাধীন বনকর্মকর্তা আসলামের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

তার পকেটে টাকা না আসলে নিমিশে ভেঙে দেয়া হয় গরিবের মাথা গোজার ঠাই টুকু। খোদ বনবিভাগের জায়গা না হয়েও সরকারী খাস জমিতে থাকা নির্মাণাধীন বাড়িঘর থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তিনি এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন দক্ষিণ হাজীপাড়া বেশ কিছু এলাকাজুড়ে খাস জমি রয়েছে এর কিছু পরে রয়েছে বিশাল এলাকাজুড়ে বনভূমি। স্থানীয় গরিব অসহায় মানুষ সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি সরকারী খাস জমি ও বনবিভাগের জমিতে বাড়ি ঘর নির্মাণ করেছেন। এমন সুযোগে মাত্র কয়েকমাস আগে যোগদান করা ফরেস্টার আসলামের নেতৃত্বে নির্মাণাধীন বাড়ি-ঘর থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার অন্যায়-আবদার পোষাতে না পারলে ভেঙে দেয়া হয় গরিবের ঘর-বাড়ি। যেমন স্থানীয় নাজমুল হুদার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন এই ১০ হাজার টাকা দিতে অপারগতা করলে তার ঘরটি অভিযানের নামে ভেঙে দেন বলে দাবি করেন ভোক্তভোগী নাজমুল হুদা। গোপনসূত্রে জানাযায়, আসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তির সাথে সখ্যতা রয়েছে। ঐ প্রভাবশালী সিন্ডিকেট তাদের ব্যাক্তিগত সুবিধা হাসিল করতেও এই ঘরটি ভেঙেছে বলে দাবি ভোক্তভোগী পরিবারের।
ফরেস্টার আসলাম যোগদান করার পর থেকে নানা বিতর্কতা তার বিরুদ্ধে। এর আগেও টাকা না পেলে হুমকি-ধুমকি দিয়ে ঘর ভেঙে দেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।নাম প্রকাশ না করা সত্বে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান মোঃ আমিন, মোশারফ ইঞ্জিনিয়ার, সৈয়দ আলম,শাহাদাত,আমির আলী,জাহেদ,জাকরিয়া মিস্ত্রি, মোস্তাক,সাহাব উদ্দিন,কেফায়েত উল্লাহ লাবিব এদের নির্মাণাধীন প্রত্যেক ঘর থেকে দশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
ফরেস্টর আসলাম একটি মোটর বাইক নিয়ে দুয়েকজন সঙ্গী নিয়ে এলাকায় এলাকায় মহড়া দিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় এবং এলাকাবাসীকে বলে আমি গোপালগঞ্জের মাল। সব কথা আমায় কথায় চলবে আর আমি যা বলি তাই হবে।

এই বিষয়ে ভোক্তভোগী নাজমুল হুদা বিট কর্মকর্তা আসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে ঘর ভেঙে দেওয়া এবং এলাকায় নির্মাণাধীন ঘর থেকে টাকার বিনিময়ে নির্মাণাধীন ঘর তৈরী করতে দেওয়াসহ ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ এনে কক্সবাজার জেলা দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কার্যালয়, চট্রগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কার্যালয় এবং প্রধান বনসংরক্ষণ কার্যালয়ে ৩ই মে সোমবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বাদল,রুবেল সাথে অবৈধ যোগসাজশ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। অভিযানের নাম দিয়ে ঘর ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাদের ব্যবহার করে টাকা আদায় করেন আসলাম।

এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান,আমি একজন ভোক্তভোগীর লিখিত আবেদন পেয়েছি আবেদনের প্রেক্ষিতে একজন সিনিয়র অফিসারকে দিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিব।

সম্পর্কিত পোস্ট
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com