(নিজস্ব প্রতিবেদক)
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদে এক অসহায় মহিলাকে ৫ মাস ধরে ২০২৩-২০২৪ চক্রে ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) এর চাউল না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী অসহায় মহিলার বাড়ী খুরুশকুল ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের তেতৈয়া এলাকায় বলে জানা যায়। ঐ অসহায় মহিলার নাম রুকসুমা আক্তার,স্বামী আব্দুল করিম।
ককক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) বরাবর দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রুকসুমা আক্তার গরীব, অসহায় হওয়াই ইউনিয়ন পরিষদ সচিব তাকে একটি ভিডব্লিউবি’র চাউলের একটি কার্ড করে দেন। মাস্টার রুলের ৩৬ ক্রমিকে তার নাম থাকা সত্ত্বেও বিগত ৫ মাস ধরে তাকে চাউল দেয়া হচ্ছে না। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তার স্বামীর পক্ষে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই ইউএনও’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
৫ মাস ধরে ভিডব্লিউবি’র চাউল না পাওয়ার বিষয়ে জানার জন্য ভুক্তভোগী মহিলার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার স্বামী আব্দুল করিম মোটোফোনে বলেন-আমি জাল টুনার কাজ করি। বর্তমানে সরকারিভাবে সমুদ্র বন্ধ থাকায় খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। আমাদের মেম্বারের সহযোগীতায় আমার স্ত্রীর নামে একটি চাউলের কার্ডের আবেদন করি। চাউল বিতরণের তালিকায় আমার স্ত্রীর নাম আছে। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাউল দেয়ার কথা থাকলেও ৫ মাস ধরে আমাদেরকে কোন চাউল দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমি পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যানের সাথে অনেক বার দেখা করেছি কিন্তু কোন সুরহা পাইনি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আমার স্ত্রী গত ২২/৬/২০২৩ তারিখ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)’র কাছে অভিযোগ দায়ের করে। আজকে আমরা ইউএনও স্যারের কাছে গেলে ইউএনও স্যার ফোন করে সচিবকে চাউল দিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো: হুমায়ুন কবির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন-ইউএনও স্যার ফোন করে বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে কথা বলেছেন এবং ঐ মহিলাকে চাউল দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু আমার কাছে গুদামের চাবি না থাকায় দিতে পারিনি। চেয়ারম্যান সাহেব চট্টগ্রাম থাকায় আমি চেয়ারম্যানের সাথে ফোনে কথা বলেছি আগামী বৃহস্পতিবার ঐ মহিলার চাউল দিয়ে দেওয়া হবে।
