ঢাকারবিবার , ৮ মার্চ ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৬ বছরে ৬ কোটি টাকার সম্পদের মালিক কাস্টমস অফিসের কেরানি সুভাষ!

প্রতিবেদক
সিএনএ

মার্চ ৮, ২০২০ ১০:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিএনএ অনলাইন:: স্বনামে বেনামে অনেক সম্পদের পাহাড় গড়েছেন শহরের বিজিবি ক্যাম্প মল্লিক পাড়া নিবাসী খগেন্দ্র মল্লিকের পুত্র সুভাষ মল্লিক।কক্সবাজার কাস্টমস এর কেরানি পদে চাকুরী করে রাতারাতি তিনি রামু ও কক্সবাজার শহরে প্রচুর সম্পদের মালিক হওয়ায় জনমনে আসে তার দুর্নীতির চিত্র । ইতিমধ্যে নামে-বেনামে জমি ও সম্পদ মিলে চাকরির ছয় বছরে ছয় কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান সুভাষ।

জানা যায়,দুর্নীতিতে তার টাকার মূল উৎস কাস্টমস অফিস। কেরানী চাকুরীর বাহিরে সুভাষ স্থানীয় অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথেও জড়িত। সে ঝিলংজার সরকারী বীজ বিপনন খামারের টপ সয়েল বিক্রির মাধ্যমে ২০ লক্ষাধিক টাকা অবৈধ আয়ের উৎস খুঁজে পান তৎকালীন টিএনও মোঃ নোমান হোসেন প্রিন্স। শুধুই তা নয় তার অর্থ আয়ের উৎস, সম্পত্তি ক্রয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এলাকার কতিপয় যুবকদের নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরিও করছে। তাদেরকে নিয়মিত ইয়াবা সেবন করার জন্য অর্থ যোগান দেন ওই ব্যক্তি। তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ট হলেও কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।

এদিকে,দুর্নীতিবাজ ওই কর্মচারি গত বছরের নভেম্বর মাসে শহরের বিজিবি ক্যাম্পে সংলগ্ন মল্লিকপাড়ায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাস্টমস এন্ড ভ্যাট এর সাব ইন্সপেক্টর সুভাষ মল্লিক বর্তমানে হানিফ পরিবহনের একটি বাসের মালিক। কিনেছে বেশ কয়েকটি দামি জমি। তার মধ্যে মল্লিক পাড়ায় তিনটি। রামুর দুলাল মল্লিকের কাছ থেকে ১০ গন্ডা, রুবেল মল্লিকের কাছ থেকে তিন গন্ডা, রামুতে আরো কিনেছেন আরো একটি জমি। কক্সবাজার শহরে চাচা রাজেন্দ্র মল্লিক থেকে এক গন্ডা, সুভ্রত মল্লিক থেকে দেড় গন্ডা। এসব জমির মূল্য বর্তমানে গন্ডায় ২০ লাখ টাকার উপরে। তবে ধুরন্ধর সুভাষ নিজেকে এসব অবৈধ সম্পদের গোপন রাখতে বেশ কৌশলী। তাই সব সম্পদ কিনেছেন স্ত্রী নিপা মল্লিকের নামে!

সুভাষ নাম মল্লিকের সহকর্মী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছেন, সুভাষ নাম মল্লিক খুবই ধুরন্ধর লোক। অফিসের কিছু অসাধু উর্ধ্বতন কর্মকর্তার যোগসাজসে ভ‚য়া সীল ও মেমো বানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। এই টাকার প্রভাবে তিনি অনেক সময় সহকর্মী ও অনান্যদের হেনস্থাও করেন।এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন সব সময়। তার কাছে অনেকে ভুক্তভোগীও। সংশ্লিষ্টদের দাবি, তদন্ত করলে সুভাষ মল্লিকের সব অপকর্মের ফিরিস্তি বের হয়ে আসবে। দুদককে এ ব্যাপারে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

দুর্নীতির এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে রং নাম্বার বলে লাইন কেটে দেন।

সম্পর্কিত পোস্ট
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com