ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১২ আগস্ট ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুরুশকুলের বিএনপি নেতা হাজী আবু তাহের এর বিরুদ্ধে জমি ক্রয় করে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ

প্রতিবেদক
সিএনএ

আগস্ট ১২, ২০২১ ১:৫২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

দির্ঘ বিশ বছর পরে মুখের ভাষা ফিরে পেলেন ছাবের আহম্মদ।

কক্সবাজার জেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড়ের বাসিন্দা চাবের আহম্মদ (৭০)। পিতা মৃত হাজী বদি আলম (মামুন পাড়া) নিজের চোখের চিকিৎসা করার জন্য কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে তার পিতার মৃত হাজী বদি আলমের কাছ থেকে পাওয়া জায়গা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন।

উক্ত জায়গা বিক্রির জন্য কাষ্টমার দেখতে তার বৌ এর বড় ভাই মৃত মমতাজ (হামজার ড়েইল)কে বলেন। দুই একদিন পরে মৃত মমতাজ খুরুশকুলের তৎকালীন বিএনপি সরকার আমলের খুরুশকুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমানুল হক আমান চৌধুরীর বড় ভাই প্রভাবশালী বিএনপি নেতা হাজী আবু তাহের।

পালপাড়া মৃত জহুর আহমদ (ফকির পাড়া) মৃত কালু মেম্বার(মামুনপাড়া)মৃত আবুল কালাম (টাইম বাজার) এরা সবাই একসাথে গিয়ে ছাবের আহম্মেদের কাছে উক্ত জায়গার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন, এক‌ই সীমানায় বসবাসরত আবু তাহের হাজীকে।

উপস্থিত সকলের সামনে ১৭ লক্ষ টাকা মুল্য নির্ধারন করে। জায়গা বিক্রির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কয়েক দিন পর আবু তাহের হাজী ও উপরে উল্লেখিত ব্যক্তি সহ ১৫০টাকার একটি স্টাম্প সহকারে গিয়ে ছাবের আহম্মদ কে বলে তুমি স্টাম্পে টিপস‌ই করে দাও তারপর তোমার টাকা গুলো বুঝে নাও। স্টাম্পে টিপস‌ই দেওয়ার পর স্টাম্পে টি কালু মেম্বার হাত নেয়।

ওর কাছ থেকে আবু তাহের হাজী স্টাম্পটি তার নিজ হাতে নিয়ে বলেন আসলে আমি এতগুলো টাকা আমি সঙ্গে করে নিয়ে আসিনি, আমি তোমার সম্বন্দি মমতাজ এবং কালু মেম্বার গিয়ে টাকাগুলো আমার বাড়ি থেকে নিয়ে আসবে।

আর স্টাম্পটি তোমার ভাবীকে একটু দেখাতে হবে বলে নিয়ে যায়। ছাবের আহম্মদ বলে আপনি একজন হাজী ও সম্মানী ব্যক্তি আপনারা যান ততক্ষণে আমারা একটু চা পানি খেয়ে নি। সেই যে গেল আর ফিরে আসার কোন খবর নেই।

তার সাথে থাকা মানুষ গুলো বিভিন্ন অজুহাতে এক এক করে সবাই চলে যায়। এরা সকলেই জানে আবু তাহের হাজী আর আসবেনা। এদের আগে থেকেই প্লান করা ছিল। বিরক্ত হয়ে ছাবের আহম্মদ আস্তে আস্তে আবু তাহের হাজীর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।

কিছু দুর যাওয়ার পর তার সম্বন্ধি মমতাজ ছাবের বলে ডাক দিল সে কিছু বলার আগেই মমতাজ তাকে বলতে লাগল হাজীর ব‌উ হটাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাকে নিয়ে হাজী সাহেব কক্সবাজার গেছে তোমার জন্য চায়ের দোকানের বিল দেয়ার জন্য ১১০০ শত টাকা পাঠিয়েছে। আমাকে সহ কালকে উনার বাড়িতে সকাল ১০টার সময় যেতে বলেছে।

তুমি আমাকে আমার বাসা থেকে ডেকে নিও। ঐ কথা বিশ্বাস করে যে যার যার বাড়িতে চলে যায়। সকাল বেলায় মমতাজের বাড়িতে গেলে, মমতাজের স্ত্রীকে ভাবী ডাক দিলে উনি কক্সবাজার গেছে বলে জবাব দেয়।তোমাকে যেই খানে যাওয়ার কথা সেই খানে যেতে বলেছে।

উনি হাজির বাড়িতে গেলে কিছুক্ষণ পর আবু তাহের হাজী এসে বলে আরে ছাবের তুই কি জন্য এসেছিস, কেন আমার জায়গা বিক্রি করা টাকার জন্য এসেছি। তোমাকে গতকাল টাকা দিয়ে টিপ নিয়ে আসলাম আবার কিসের টাকা। উপস্থিত সকলের সামনে দিলাম, যখন বেশি কথা কাটাকাটি হচ্ছিল তখন আবু তাহের হাজী গর্জন করে বলেন তুই আমাকে চিনিস আমার কথায় থানার এসপি ওসি উঠে বসে। আরেকটি কথা বললে চোর বলে পুলিশের হাতে তুলে দিব।

কোন উপায় না দেখে গেইট থেকে বের হয়ে কিছু পথ হাঁটার সময় সে রাস্তার মাঝে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। পথচারী তাকে উদ্ধার করে ড়াক্তারের কাছে নিয়ে যায়। পরে তার বাড়ির লোকজন এসে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। সবাই কি হয়েছিল জানতে চাইলে কোন কথা বলেনা চোখ থেকে পানি পড়তে ছিল। এই ভাবে থাকতে থাকতে তার চোখ দুটি এখন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে, কোরবানীর কয়েক দিন আগে সে হঠাৎ করে একটু করে কথা বলে তা শুনে তার স্ত্রী, সন্তানেরা কি হয়েছিল ঐদিন সে আস্তে আস্তে তার লোম হর্ষক কাহিনী তার সন্তানদের কাছে বলে, এদের এমন কোন সামর্থ নেই যে একটা মামলা করবে।

হাজির সাথে কথা বলার সাহস তাদের নেই, অনেক ভেবে চিন্তে সমাজের একজন ব্যাক্তির পরামর্শ দেয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে দেখ।

আমি এই অনলাইন সংবাদের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মানবদরদী মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করছি বিএনপির লুটতরাজ বাটপার বিএনপির নেতা আবু তাহের হাজীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের গোয়েন্দা সংস্থা প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

কক্সবাজার প্রশাসনের নিকট ওনার জোর দাবি গুরুত্ব সহকারে ঐ প্রতাকর হাজী আবু তাহেরকে তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় এনে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সহ
জমি বিক্রি টাকা উদ্ধারে আকুল আবেদন জানিয়েছেন দৃষ্টি হীন বৃদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা ।

সম্পর্কিত পোস্ট
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com