ঢাকাশুক্রবার , ২৮ জুলাই ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টেকনাফে অপহরণের ২৩ ঘণ্টা পর শিশুশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার।

প্রতিবেদক
নোমান হাশেমী হ্নীলা

জুলাই ২৮, ২০২৩ ১০:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

টেকনাফে অপহরণের ২৩ ঘণ্টা পর শিশুশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার।

নোমান হাশেমী হ্নীলা :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলায় অপহরণের ২৩ ঘণ্টা পর সাবিহা জান্নাত (৮) নামের এক শিশুশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে র‍্যাব। আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে হ্নীলা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার পেছনের একটি নালা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, র‍্যাবের একটি দল ওই শিশুর লাশটি উদ্ধার করে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় র‍্যাব পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে ওই শিশুকে অপহরণ করা হয়। সে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদারপাড়া এলাকার সানা উল্লাহর মেয়ে এবং হ্নীলা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে সাবিহাকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিলেও কোথাও তাকে পাননি। রাতে ওই শিশুর মায়ের মুঠোফোন নাম্বারে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। মুক্তিপণের বিষয়টি তাঁকে জানালে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানান। বাবা সানা উল্লাহর সঙ্গে ওই শিশুর মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের পর শিশুটি মায়ের সঙ্গে থাকত।

নিহত শিশুর মা জেসমিন আক্তার বলেন, গতকাল রাতে হ্নীলার পশ্চিম সিকদারপাড়ায় তাঁর বড় মায়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাঁর মুঠোফোনে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এ ঘটনার পর রাতে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, র‍্যাব ও পুলিশ অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য পৃথকভাবে কাজ করেছে। এর মধ্যে ২৩ ঘণ্টা পর শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com