শারমিন রোজি, কক্সবাজার: কক্সবাজার থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মহেশখালীর সোনাদিয়া। এখানেই গড়ে তোলা হচ্ছে ইকোট্যুরিজম পার্ক। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কে প্রায় ৯ হাজার ১ একর জমি বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এতে সহসাই এই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অপরূপ সৌর্ন্দয আর নানান জীব বৈচিত্রের সমৃদ্ধি দ্বীপ সোনাদিয়া। কক্সবাজার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে সাগর গর্ভে অবস্থিত এ দ্বীপে গড়ে তুলা হচ্ছে ইকোট্যুরিজম পার্ক। এর মাধ্যমে জীব বৈচিত্র সংরক্ষনের পাশপাশি বিদেশী পর্যটক আকৃষ্ট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টজনরা।
জানাগেছে, চারদিকে সাগর বেষ্টিত জনপদ মহেশখালী কুতুবজোম ইউনিয়নের একটি ওর্য়াড নিয়ে গঠিত সোনাদিয়া দ্বীপ। বিচিত্র প্রজাতির জলচর পাখি, ৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপকে করেছে অনন্য। আর এসব কিছু সংরক্ষন করে এখানে গড়ে তুলা হচ্ছে ইকোট্যুরিজম র্পাক। এ কারনে উক্ত এলাকার উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।মহেশখালী কুতুবজুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন বলেন, এখানে ইকোট্যুরিজম গড়ে তোলা হচ্ছে। সোনাদিয়ায় ২টি গ্রামে ৩৪৫ টি বাড়ী আর ১৮’শ মানুষের বসবাস। রয়েছে ২টি মসজিদ, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি সাইক্লোন শেল্টার। তিনি বলেছেন, এসব রেখে যেন পার্কটি গড়ে তোলা হয়।স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ম্যানগ্রোভ বন, স্বচ্ছ নীল জল, কেয়া বন, লাল কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রকারের সামুদ্রিক পাখি পর্যটকদের মুগ্ধ করছে। এখানে ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রীক পর্যটন গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও লাভবান হবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাতেই সরকার প্রায় ৯ হাজার ১ একর জমি বরাদ্ধ দিয়েছে বেজাকে। জীব বৈচিত্র সংরক্ষন আর লাল কাকড়ার জন্য আলাদা জোন করা হবে। পাশাপাশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে সোনাদিয়ার আবহাওয়া ও স্থান পরিবেশ অনুকুলে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি পরিদর্শন টীম সোনাদিয়ায় গিয়ে স্থান পরিদর্শন করেন। তবে পর্যটন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সোনাদিয়া দ্বীপ পরিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকা, পার্ক নির্মাণের সময় সেদিকটাও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি পর্যটনের নেতিবাচক দিক পরিহার করে ইতিবাচক দিক বিবেচনায় সোনাদিয়ার ইকোট্যুরিজম অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে ভুমিকা রাখবে।