কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘টিকা কর্যক্রম সম্পন্ন হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মতো ভ্যাকসিন দেওয়ার বয়সের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষায় যারা আছে সবাই যেন ভ্যাকসিন পায় এবং দ্রুত যেন আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারি; সেই ব্যবস্থা নেবো।’
সরকার শিক্ষাকে সব থেকে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।’
করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। “আমার গৃহ আমার স্কুল”, “ঘরে বসে শিখি”সহ সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণের কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এতে করে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর দীর্ঘ একবছর শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা সম্ভবপর হয়েছে।’
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিরতণ করেছি এবং বৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু না থাকায় শিক্ষার্থীদের খুবই কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হবে।