লামায় মন্দির হামলার ঘটনায় দুই মামলা, আটক ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্দরবানের লামায় গত ১৪ অক্টোবর২১ইং বৃহস্পতিবার লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে হামলা-ভাংচুর, সনাতন ধর্মালম্বীদের দোকান-বসতবাড়িতে হামলা-ভাংচুর-লুটপাট, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় লামা থানায় পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে। লামা থানা পুলিশের এসআই আশরাফ হোসেন ও লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে লামা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গত পৌরসভা নির্বাচনের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ শাহীনকে ১নং আসামী করে মোট ৪৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০ উল্লেখ করে লামা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ০৫, তারিখ- ১৭ অক্টোবর ২০২১ইং। এই মামলায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের শুনানী শেষে আটক ৪ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হল, মোঃ কাউসার (৩৫), মোঃ খালেক (৪০), আল আমিন (১৯) ও মোঃ নিজাম (২৭)।
আটক ৪ আসামী মোঃ কাউসার, মোঃ খালেক, আল আমিন ও মোঃ নিজাম
অপরদিকে লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য বাদী হয়ে সোমবার (১৮ অক্টোবর) লামা মাতামুহুরী কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মোঃ মোনায়েম কে ১নং আসামী করে মোট ৯৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩৫০ দিয়ে আরেকটি মামলা করেন। এই মামলার অনেক আসামী পুলিশের মামলার রয়েছে।
প্রশান্ত ভট্টাচার্য আরো বলেন, হামলাকারীদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে সনাতন ধর্মালম্বীদের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা মন্দিরের অনেক মালামাল, লোহার গেইট, সীমানা দেয়াল, প্যান্ডেল, ডেকোরেশনের গেইট সহ বেশ কয়েকটি হিন্দু ধর্মালম্বী লোকজনের দোকানপাট ও ৫টির অধিক বসতবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এবিষয়ে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এজাহার নামীয় আসামীদের আটকে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।