ডেক্স নিউজ:
এপ্রিল মাস জুড়ে তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত হওয়ার উপক্রম ছিলো জনজীবন। এরপর সপ্তাহখানেক বৃষ্টিতে সেই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এই স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি স্থায়ী হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, মে মাসের মাঝামাঝি গরম বাড়তে পারে। শেষার্ধের পুরো অংশ জুড়ে থাকতে পারে ‘দাবদাহ’।
চলতি সপ্তাহের শেষ দিক থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা। তিনি বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে। মধ্য মে মাস থেকে গরমের পরিমাণ তুলনামূলক বাড়বে। মে মাসের শেষাংশের পুরোটা জুড়েই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।
আবাহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৫ মের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। ওই সময়ে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এখনকার মতো একসঙ্গে সারাদেশে বৃষ্টিপাত হবে না। শনিবার রাতের তাপমাত্রা গত কয়েক দিনের তুলনায় বাড়তে পারে। তবে রোববার দিনের তাপমাত্রা একই থাকবে। এরপর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।
তাপমাত্রা কেমন হবে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন: তাপমাত্রা বাড়লেও তা মে মাসের মতো ভয়াবহ হবে না। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হবে। চলতি মে মাসের শেষে এবং জুনের প্রথম দুই সপ্তাহ তাপমাত্রা বেশি থাকবে। ১৫ জুন থেকে বর্ষাকাল শুরু। বর্ষা শুরুর আগে প্রকৃতিতে এক ধরণের ড্রাইআউট থাকে। এসময় তাপমাত্রা বেশি থাকে।
মে মাসে সারাদেশে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে আমাদের দেশে এই হিটওয়েভ শুরু হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে। তা কিছু কিছু স্থানে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে যায়।
দেশের ইতিহাসে রাজধানী ঢাকায় ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলতি বছরের মে মাসের রেকর্ড তাপমাত্রা স্বাধীনতার পর দেশের সর্বোচ্চ।