কক্সবাজার শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীত পাশে কটেজ জোন। এই জোনে প্রায় ৮টি কটেজে নিয়মিত মজুদ রাখা হয় পতিতা। যার মধ্যে অন্যতম শাহিনের ভাড়া নেওয়া কটেজ ‘সবুজ কটেজ।
শাহিন ওরফে পান শাহিন। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে কটেজে পতিতা মজুদ রেখে দেহ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও আইনের আওতায় আসেনি একবারও।
কটেজ জোনের আলোচিত হলো সবুজ কটেজ। যে কটেজ সব সময় পতিতাদের ডেরা হিসেবে পরিচিত।
ওই কটেজে সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ বহুবার অভিযান চালিয়ে পতিতা আটক করেছিল। সীলগালাও করা হয়েছিল একবার।কিন্তু থেমে থাকেনি ওই কটেজের অপরাধ।
পুরো কটেজটি নিয়ন্ত্রণ করেন লাইট হাউজ এলাকার পান শাহিন।
কটেজ জোনে প্রায় পুলিশের অভিযানে মামলা থেকে কৌশলে বাদ পড়ে পান শাহিন। শাহিনের কটেজ থেকে বহুবার পতিতা ও খদ্দের আটক হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন তিনি।
পতিতা মজুদ রাখতে পুরো কটেজটি ৩ বছরের জন্য ১০ লাখ টাকার সেলামীতে ভাড়াও নেন শাহিন।প্রতিমাসে ভাড়া দিতে হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
একটি সূত্রে জানা গেছে- স্থানীয় কিছু যুবককে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে মাসোহারা দিয়ে পান শাহিন অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত দেন চাঁদাও।
এছাড়াও সিরাজ সওদাগর নামে একব্যক্তি সী-টাউন কটেজ ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মজুদ রাখছে পতিতা। সেখানেও চলে জমজমাট দেহ ব্যবসা।
সিরাজ সওদাগরের বাড়ি মহেশখালী হলেও থাকেন লাইট হাউজ এলাকায়। কটেজ জোনের এই অবৈধ কারবারের জন্য চিহ্নিত হলেন সিরাজ সওদাগর ও পান শাহিন। পুরো কটেজ জোনে তারা পতিতা ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ পরিচিত।
এবিষয়ে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন- কটেজ জোনে অপরাধ দমন ও অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করতে দ্রুত সময়ে সেখানে অভিযান চালানো হবে। voice world 24.com