শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে সহকারী শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের মাগন বেপারির কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় শনিবার বিকালে সখিপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্ত আযহারুল ইসলাম ৪৪ নম্বর তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের মাগন বেপারির কান্দির আব্দুর রব বেপারির ছেলে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষিকার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। শুক্রবার আযহারুল ইসলামের স্ত্রী বাবার বাড়ি যান। এই সুযোগে শিক্ষিকাকে বিয়ের কথা বলে বাসায় ডেকে ধর্ষণ করে। স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের আটক করে। সকালে বিয়ে হওয়ার কথা বলে জোর করে বাড়ি থেকে শিক্ষিকাকে বের করে দেয় প্রধান শিক্ষক।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক বিয়ের কথা বলে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করে আসছিল। শুক্রবার বিয়ের কথা বলে আবার ধর্ষণ করে। পরে জোর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।’
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের বাড়িতে গেলে সাংবাদিক দেখে পালিয়ে যায়। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ করেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেওয়া হবে।