কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালীর অন্যতম শাখা ও পৌরসভার আওতাধীন সামরাই খাল ও তৎসংলগ্ন চলাচলের রাস্তা কয়েকজন অবৈধ দখলদার কতৃক জবরদখলের বিরুদ্ধে মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্র্রেট কক্সবাজার আদালতে মামলা করেছেন বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট আবুহেনা মোস্তফা কামাল।
বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু সুফিয়ান বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজার সদরের সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে।
বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত(ভার্চূয়ালে) দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে ৩ জন ভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ৩ জন হলেন- সুভাষ মল্লিক,ও তপন মল্লিক, উভয় পিতা-মৃত নগেন্দ্র মল্লিক, নিতা মল্লিক, স্বামী- বাবুল মল্লিক।
মামলায় বলা হয় কক্সবাজার পৌরসভার অন্যতম খাল সামরাই ঝিলংজা মৌজায় সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত বিএস দাগ নং-৬৪৫২ ও বিএস-৬৫৩৬, বিএস-৬৫৭৩ এলাকার উপরোক্ত দখলকারীবৃন্দ দেয়াল নির্মাণ করে ও রাস্তা দখল করে খালের নাব্যতা নষ্ট ও চলাচলের পথ বাধাগ্রস্ত করেছে।
এই বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি-১৩৩ ধারামতে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং নদীর দখলকারীরা নদীর সেই সত্তা অস্বীকার করছেন। আমরা তাদের উচ্ছেদ চাই।
এদিকে নানা পরিবেশবাদী সংগঠন সামরাই খালের উদ্বার ও তৎপরতার জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল, বাঁকখালী বাঁচাও আন্দোলন, সিইএইচআরডিএফ, বাঁকখালী গবেষণা একাডেমি, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন, সিইএইচআরডিএফ রিভার ফোরাম।
সংগঠনগুলো মনে করে বাঁকখালীর বাঁচা মরা ছোট ছোট খালগুলোর ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই সামরাই খাল বাঁচানো আমাদের প্রাণের দাবি।