করোনার মহামারীতে অন্যান্য ব্যবসার মন্দা দেখা দিলেও রমরমাভাবে চলছে মাদক বাণিজ্য। রাখাইন পাড়ার বিভিন্ন মহল্লায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা,ফেন্সিডিলসহ রকমারী মাদক। এসব মাদকে আসক্ত হয়ে ধ্বংসের পথে বসেছে বেকার যুবক ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। মাদকের অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রতিবেদকের ক্যামরায় উঠে আসে পূর্ব রাখাইন পাড়ার মাদক সম্রাজ্ঞী মাখিশা রাখাইন ও তার মা ওয়ে ম্যা রাখাইনের মাদক বেচাকেনার ভিড়িও চিত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাখাইন পাড়ার মাদক সম্রাজ্ঞী মাখিশা রাখাইন ও তার মা ওয়ে ম্যা রাখাইন বসেছেন ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদকের হাট বসিয়েছে এ হাটে প্রতিনিয়ত দেখা মিলছে রকমারী কাস্টমারের।
পুলিশ এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী করোনার সংকট মোকাবেলায় মানবিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাখাইন মা মেয়ে সিন্ডিকেট করে দেধারছে চালিয়ে যাচ্ছে ফেন্সিডিল ব্যবসা।
স্থানীয়রা আরও জানান, মাখিশা রাখাইন মাদকের পাশাপাশি সেবনকারীদের মনোরঞ্জনের জন্য করছেন রাখাইন যুবতীদের অবাধ মেলামেশার সম্রাজ্য যার ফলে মাখিশা রাখাইনের কাছে নতুন নতুন মাদকসেবীদের আবির্ভাবও হয় অনেক কাস্টমারের। এতে দেখা যায় উঠতি বয়সী যুবকেরা জড়িয়ে পড়ছেন মাদকের পাশাপাশি নারী নেশায়। আর এসবের টাকা জোগাড় করতে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন যুবকেরা।
সচেতন মহল জানান,মাখিশা ও তার মার মাদক বিস্তার বন্ধ করা না গেলে অচিরেই শেষ হয়ে যবে শত শত যুবক যুবতীর জীবন। করোনায় মাদকের বিস্তার ঘটায় প্রতিদিন দেখা মিলছে এসব খদ্দরদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন,মাদক সেবনকারীর আনাগুনা কমে গেলেও চলছে হোম ডেলিভারি তার এই কাজে নিয়োজিত রয়েছে থংলাই রাখাইন প্রকাশ মুন্না ও তার স্ত্রীর নেতৃত্বে কিছু উশৃংঙ্খল যুবক। খদ্দরদের কাছে দেওয়া আছে এই সিন্ডিকেটের মোবাইল নাম্বার কল করলেই নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয় ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদক। তবে এর জন্য দিতে হয় একটু বেশি দাম।
সম্প্রতি সময়ে বিপুল ফেন্সিডিলসহ আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন মাখিশা রাখাইনের ছেলে। এরপর কৌশল পাল্টিয়ে চলমান রাখেন তার মাদক সম্রাজ্য। কি হয়েছে আটক হবে বের হবে এটা স্বাভাবিক,আমিও ফেন্সিডিল নিয়ে জেল খেটেছি এমন দাম্ভোক্তিক আচরণ ফেন্সিডিল মাদার মাখিশার।
এ ব্যাপারে মাখিশা রাখাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি জানান ৮ মে আমার ছেলে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আমি ব্যবসা করি না,আমার মা ওয়ে ম্যা রাখাইন ব্যবসা করেন।তবে এ ব্যপারে ওয়ে ম্যা রাখাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফেন্সিডিলের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবি জাবেদুল আনোয়ার রুবেল জানান,মাদক কারবারীরা গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁকফুকর দিয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে ,এ ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতির কথাও জানালেন এই আইনজীবি,তিনি আরও বলেন যে কোন আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে তবে সাধারন সাক্ষীর অভাবে মাদক মামলাগুলা নিষ্পত্তিতে দেরি হয়,এসব ব্যপারে জনগনের সহযোগীতা করা দরকার।
এ ব্যপারে কক্সবাজার সদর মড়েল থানার অফিসার ইনচাজ শেখ মনিরুল গিয়াস জানান,মাদকের বিরুদ্ধে নিরলসভাবে কাজ করছে পুলিশ। সমাজ থেকে মাদক নিরমূল করতে হলে সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে,মাখিশা এবং তার মায়ের মাদক ব্যবসার বিষয়ে খুঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।