সিএনএ ডেক্স:
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চট্টগ্রাম জেলা রাজস্ব প্রশাসনের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়ে জেল-জরিমানা গুনলেন ১৫ জন। বুধবার (১ জুন) চট্টগ্রাম মহানগরীর জিমনেশিয়াম হলে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. ইবরাহীম, নাইমুল ইসলাম, মুরশেদুল আলম, মো. জুনায়েদ, বিপ্লব সুশীল, মনিদীপা চৌধুরী, মোজাম্মেল হোসেন, আলী আজগর, তম্ময় দে, নন্দন দাশ, মান্না দাশ, প্রীতম চৌধুরী, শেখর দাশ, রহিম উদ্দিন ও আসাদুজ্জামান। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে অর্থদণ্ড ও ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় কয়েকটি দুষ্কৃতি সিন্ডিকেট সক্রিয় ছিল। এসব সিন্ডিকেট চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি করা হয়। লিখিত পরীক্ষার সময় দুজনকে আটক করা হয়েছিল। বুধবার ভাইভা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও ১৫ জনকে আটক করা হয়। তাদের জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার রাজস্ব প্রশাসনের রাজস্ব শাখাসহ ১৫টি উপজেলা ভূমি অফিস ও ছয়টি মহানগর সার্কেল ভূমি অফিসে অফিস সহায়কের শূন্য পদে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল। গত ১১ মার্চ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ১ জুন ২৩৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়।
কিন্তু প্রক্সি সিন্ডিকেট ধরতে তাৎক্ষণিক লিখিত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের প্রকৃত দক্ষতা, মেধা ও হাতের লেখা নিরীক্ষণের আয়োজন করা হলে তৎক্ষণাৎ ২১ পরীক্ষার্থী পালিয়ে যায়। এসময় ধরা পড়ে ১৫ জন। আটকদের তাৎক্ষণিক আগের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হলে আগের লেখার সঙ্গে তারতম্য ধরা পড়ে। অনেকের হাতের লেখায়ও অমিল পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। লিখিত পরীক্ষায় প্রবেশপত্র ফটোশপ করে অন্য প্রার্থীকে দিয়ে পরীক্ষায় তারা পাস করেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
এক পর্যায়ে জানা যায় বিগত অনেক সরকারি নিয়োগে একজনের পরিক্ষা অন্যজনকে দিয়ে অর্থের বিনিময়ে অহরহ চাকরি দিয়েছে একটি চক্র। জনগণের দাবী সরকার ও প্রশাসন একটু তদন্ত করে দেখলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।