কোমর, পা কিংবা হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথা যাদের নিত্যসঙ্গী, তাদের পছন্দের খাবারের তালিকায় ব্যথার ওষুধটাও থাকে। কিন্তু ওষুদের পেছনে দৌড়ানোর আগে খেয়াল করুন ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন কিনা। শ্বাস-প্রশ্বাসের এমন কিছু কৌশল আছে যা কমাতে পারে মাংসপেশীর নানান ব্যথা। এমন তিন কৌশলের কথা জানা যাক এবার।
৪-৭-৮ কৌশল
জলদি ঘুম আনতে কৌশলটা কাজ করে ভালো। পাশাপাশি মাংসপেশীকে শিথিল করে ব্যথাও কমায়।
একটি চেয়ারে আরাম করে বসুন। হাতজোড়া রাখুন তলপেটের কাছে। এরপর নাক দিয়ে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিয়ে বুক ফুলিয়ে নিন। ৭ সেকেন্ড ধরে রাখুন। ধীরে ধীরে ৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে কয়েকবার শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে দেখুন, পার্থক্যটা টের
ডায়াফ্রাগম্যাটিক কৌশল
পাকস্থলী, তলপেটের মাংসপেশী ও ডায়াফ্রাম; এ তিনের সমন্বয়ে চালাতে হবে এ শ্বাস-প্রশ্বাস। হৃৎস্পন্দনের উচ্চগতি কমাতে সাহায্য করে এ কৌশল। যথারীতি মাংসপেশী শিথিল করে কমাবে ব্যথাও।
মাথা ও হাঁটুর নিচে একটি করে বালিশ রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। কাঁধের ওপর যেন চাপ না পড়ে। শরীর একেবারে ছেড়ে দিন। এক হাত রাখুন নাভির ওপর আরেক হাত বুকে। নাক দিয়ে দুই সেকেন্ডে বাতাস নিয়ে ভাবুন, কী করে বাতাসটা আপনার পেটের ভেতর ছড়িয়ে পড়ছে।
ঠোঁট গোল করে দুই সেকেন্ডে বাতাস ছেড়ে দিন। চেষ্টা করুন পাকস্থলীর পেশীর ধাক্কা দিয়েই বাতাস সব ছেড়ে দিতে।
সমবৃত্ত শ্বাস-প্রশ্বাস তথা ইকুয়েল ব্রিদিং
কোথাও আরাম করে এক পা আরেক পায়ের ওপর রেখে বসুন। নাক দিয়ে চার সেকেন্ড সময় নিয়ে শ্বাস নিন। বুকে শ্বাসটা কিছুক্ষণ রাখুন। এরপর মুখ দিয়ে চার সেকেন্ডেই আবার বাতাস ছেড়ে দিন। এভাবে ১০ বার করুন। মাংসপেশী শিথিল করার পাশাপাশি কৌশলটি মানসিক চাপ ও রক্তচাপ দুটোই কমাবে।