বালুখালীতে সরকারী জমি দখল, রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে দোকান নির্মাণ
(আনোয়ার হোছন)
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী মরাগাছ তলা বাজারে সরকারী জমি দখল করে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে দিনে-রাতে কাজ করে সেমিপাকা দোকান নির্মাণ করছে সাইফুল ইসলাম নামের এক ভূমিদস্যু। সে ঐ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা যায়। সরকারী জমি দখল করে রোহিঙ্গা বাজার গড়ে উঠার পেছনে প্রশাসনের নীরবতা ও প্রভাবশালীদের দায়ী করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
জানা যায়, বালুখালী মরাগাছ তলা এলাকায় সরকারি জায়গা দখলের হিড়িক পড়েছে। প্রতিনিয়ত সরকারি জমিতে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে দোকান ও ঘর-বাড়ি। স্থানীয় ভূমিদস্যুরা সরকারী জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে রোহিঙ্গাদের মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভাড়া দিচ্ছে। আবার অনেক ভূমিদস্যু ঘর নির্মাণ করে রোহিঙ্গাদের বিক্রি করে দিচ্ছে। মরাগাছ তলা এলাকা বর্তমানে একটি বাজারে পরিনত হয়েছে। যার অধিকাংশ ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা এবং বাজারের পূর্ব পাশে যেসব ঘর-বাড়ি রয়েছে তার অধিকাংশ ঘরেই রোহিঙ্গাদের বসবাস। অনুসন্ধানকালে সরকারী জায়গা দখল করে নতুন একটি সেমিপাকা দালান নির্মাণের দিকে চোঁখ যায় প্রতিবেদকের। কাছে গিয়ে দেখা যায় ৫/৬ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাত আরা। সরকারী জমিতে দোকান নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- বাজারের সবাই যেভাবে দখল করে দোকান নির্মাণ করছে, তেমনভাবে আমরাও করছি। আপনাদের সমস্যা কি? কিছুক্ষণ পর ভূমিদস্যু সাইফুল ইসলাম তার বন্ধু মিজান নামক এক যুবদল নেতাকে নিয়ে দেখা করেন সাংবাদিকদের সাথে। তখন ঐ বিষয়ে নিউজ করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুমকি দেয় কথিত যুবদল নেতা মিজান ও ভূমিদস্যু সাইফুল ইসলাম। তাদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মিজান নামক এই ব্যাক্তির কাছে আপনি যুবদলের কোন পদে আছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন- আমার কোন পদবী লাগে না, আমার নাম বললে সবাই এক নামে চিনে। কক্সবাজার-টেকনাফ মহা সড়কের দু’পাশে সরকারী জমি দখল করে বাজার গড়ে উঠার পেছনে প্রশাসনের নীরবতা ও প্রভাবশালীদের দায়ী করছেন সচেতন মহল। এসব বন্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
সরকারী জমি দখল করে দোকান নির্মাণের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন-জমিটি আমার শ্বশুর বাড়ীর। মূলত শ্বশুর বাড়ীর জমিতে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি মাঝে মাঝে দেখতে যায়। গত ১৫-১৬ বছর আমরা কিছু করতে পারিনি। ব্যবসা করার জন্য দোকানটি করছি। একপর্যায়ে তিনি প্রতিবেদককে নিউজ না করার অনুরোধ করেন এবং উখিয়া গেলে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন।
এবিষয়ে জানার জন্য উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারিন তাসনিম তাসিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে “আমি এখন মোবাইল কোর্ট অভিযানে আছি” বলে ফোন কেটে দেওয়াই বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।