ঢাকামঙ্গলবার , ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাঠ্যবইয়ে ভুল, জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক

জানুয়ারি ২৪, ২০২৩ ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেক্সঃ

অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, শুধু যে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পাঠ্যবই হয় তা নয়। এর বাহিরেও বই তৈরি হয়ে থাকে। ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১০টি বই সুখপাঠ্যকরণ করা হয়েছিল। এবারের তিন বই তার মধ্যে ছিল। তাতে বিজ্ঞান বিষয়ের বইগুলো ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, পদার্থ বিজ্ঞান অধ্যাপক কায়কোবাদ, আনোয়ারা সৈয়দ হক ইতিহাস এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ পরিমার্জন করেছেন। আসলে যেসব বিষয় নিয়ে এখন বির্তক করা হচ্ছে, সেগুলো সংশ্লিষ্টদের চোখ এড়িয়ে গেছে। ১০ বছর ধরে থাকার পরও সুধি মহলের নজরেও আসেনি। নতুন শিক্ষাক্রমে এবার পাঠ্যবই সংশ্লিষ্টরা আগ্রহ নিয়ে পড়তে যাওয়ায় ভুল চিহ্নিত হয়েছে। এটি ইতিবাচক। যে কারণে সংশোধন করা সম্ভব হয়েছে।

তবে যেসব ভুল এখন চিহ্নিত করা হচ্ছে তার সব সঠিক নয় বলেও মনে করেন তিনি। দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির গণহত্যা দিবস ২৫ বা ২৬ মার্চ, এ বিষয়ে পুরো অধ্যায় পড়লে মনে হবে না, শুধু ‘অবরুদ্ধ বাংলাদেশ’ অধ্যায় পড়লে সেখানে ভুল মনে হবে। এগুলো শুধু দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়। সংসদের বিধান হচ্ছে ‘আইনসভা’ সংবিধানে সেটাই লেখা আছে। আমাদের দেশের আইনসভা হচ্ছে ‘জাতীয় সংসদ’। একেক দেশের আইনসভাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়। সে কারণে বইয়ে আইনসভা লেখা হয়েছে। পরে আবার জাতীয় সংসদ উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ভুল ধরা হচ্ছে। এগুলো আসলে ভুল বলা ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, পাঠ্যবই রচনা-সম্পাদনার ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত কমিটিতে বাম বা ডানপন্থি ব্যক্তিদের নির্বাচন করার অভিযোগ সঠিক নয়।

সম্পর্কিত পোস্ট