দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৮২২ জন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে ২৮ জুন শনাক্ত হওয়া আট হাজার ৩৬৪ জনকে ছাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত নতুন রেকর্ড এটি।
তারও আগে দেশে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে গত ৭ এপ্রিল একদিনে সাত হাজার ৬২৬ জন শনাক্ত হওয়ার খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৮ জুনের আগে সেটাই ছিল একদিনে সর্বোচ্চ।
গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া আট হাজার ৮২২ জন নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত মোট শনাক্ত হলেন নয় লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৫ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনায় মারা গেলেন ১৪ হাজার ৫০৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৫ জনকে নিয়ে আজ দেশে টানা চতুর্থ দিনের মতো একদিনে মৃত্যু একশ’র ওপরে। ২৯ জুন মারা যান ১১২ জন। এর আগে গত ২৭ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৮ জুন মারা যান ১০৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর এর আগে জানায়, দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সংক্রমণ পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ২৩ জুন পাঁচ হাজার ৭২৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যা ছিল ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ। কিন্তু গত ২৮ ও ২৯ জুনে রোগী শনাক্ত অনেক বেড়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২৮ জুন শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ২৯ জুন ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ (প্রায় ২৪ শতাংশের কাছাকাছি)। গত ৩০ দিনে সংক্রমণের হার মোটামুটি বেড়েই চলেছে, বলেন তিনি।
৩০ জুনের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে আসার আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে ২১ হাজার ৬২৯ রোগী শনাক্ত হলেও ফেব্রুয়ারি মাসে রোগী কমে হয় মাত্র ১১ হাজার ৭৭ জন। কিন্তু মার্চ থেকে ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এপ্রিল মাসে এক লাখ তিন হাজার ৯৫৭ জন রোগী শনাক্ত হয় আর জুনের ২৯ দিনে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ তিন হাজার ৮৯৬ জন।
তিনি বলেন, রোগী বাড়ার প্রবণতা এক মাস ধরে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেখছি অনেক বেশি। নিশ্চিত করে বলতে পারি আজকের (৩০ জুন) রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সেটা হবে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
৩০ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া হিসাবে কেবল জুন মাসেই রোগী শনাক্ত হলেন এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ৮ মার্চ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত সপ্তাহভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরিশাল বিভাগে ৮ মার্চ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪১৬ জন কিন্তু ২৫তম সপ্তাহে এসে সেটা হয়েছে ৭৩৮ জন। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগেও শনাক্তের হারও অন্য সময়ের চেয়ে বেশি।