স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান শুরু হবে। আজ সচিবালয়ে ‘লকডাউন’ সম্পর্কিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, টিকা দেওয়ার বিষয়ে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সে কারণে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করছি। যেখান থেকে ইউনিয়নের সমস্ত লোকজন, আপামর জনসাধারণ যারা টিকা নিতে চান তারা ওখানে এসে টিকা নিতে পারবেন। তারা এনআইডি কার্ড নিয়ে আসলেই টিকা দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, পঞ্চাশোর্ধ নারী ও পুরুষ বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন। ঢাকা শহরের হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন তাদের ৭৫ শতাংশ পঞ্চাশোর্ধ এবং তাদের ৯০ শতাংশ টিকা নেননি। তাদের মধ্যেই মৃত্যুহার বেশি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ নেই, তাদেরও একটি বিশেষ ব্যবস্থায় নিবন্ধন করে টিকা দিয়ে দেওয়া হবে, স্পটেই।
জানা যায়, করোনার টিকা দেওয়ার গতি বাড়াতে ৭ আগস্ট থেকে দেশে বিদ্যমান সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কার্যকর করা হবে। গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্য অস্থায়ী টিকাদানকেন্দ্রগুলোও কাজে লাগানো হবে। দিনে সাড়ে ৮ লাখ করে প্রতিসপ্তাহে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।