নিউজ ডেস্ক: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র কথা খুব মনে পড়ছে। জেলেপাড়ার হতদরিদ্র মানুষের দুর্দশার চিত্র আঁকতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ঈশ্বর থাকেন ওই গ্রামে, ভদ্রপল্লীতে। এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।’ সেই জেলেপাড়ার মতোই অবস্থা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর। তাদের কষ্টে যেন ঈশ্বর মুখ লুকিয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগতভাবে সুবিধাবঞ্চিত এ জনগোষ্ঠীনিজ দেশে স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত ছিল, রোগ প্রতিরোধক টিকা কর্মসূচিরও (ইপিআই) বাইরে রাখা হয় তাদের। আর জীবন রক্ষায় বাংলাদেশে আশ্রয় পেলেও রয়েছে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি। পাশাপাশি দূষিত পানি পান, রান্না, গোসলের কারণে ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, হেপাটাইটিস-এ ভাইরাস ছড়াচ্ছে। ক্যাম্পের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। পুষ্টির অভাবে বাড়ছে না বেশির ভাগ কিশোর-কিশোরীর শরীর। ডিপথেরিয়া, কলেরা ও হামের মহামারীর ঝুঁকিতেও রয়েছে রোহিঙ্গারা।