ঢাকামঙ্গলবার , ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টেকনাফ মৌচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুর নাহার টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশী নাগরিক- বাতিলের দাবী স্থানীয়দের

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেক্স

জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ ১১:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেক্সঃ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলাস্থ মৌচনী ক্যাম্পের নুর নাহার (৪৩) টাকার বিনিময়ে এখন এনআইডি পেয়ে বাংলাদেশী।

রোহিঙ্গা-নুর নাহার (৪৩) টেকনাফের লেদা ইউনিয়ন মৌচনী ক্যাম্প ডি ব্লগের বাসিন্দা।তবে রোহিঙ্গা থেকে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র(এনআইডি)পেয়ে বর্তমানে চকরিয়া উপজেলার ১৭নং খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে বসবাসরত আছেন।

স্হানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য।রোহিঙ্গা-নূর নাহার (৪৩) লেদার মৌচনীস্হ ২৬ ক্যাম্পের,ডি ব্লগের,শেড নং-৭৫৮ এর রুম-৬ বাসিন্দা।যা ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ইউএনএইচসিআর) অনুকূলে নিবন্ধনকৃত এমআরসি নং-২৬৫২৫-এ(MRC No:26525-A) অর্ন্তভূক্ত রয়েছে।

কিন্তু সেই রোহিঙ্গা নুর নাহার টাকার বিনিময়ে কক্সবাজার পৌরসভার মধ্যম টেকপাড়া এলাকার লোকমানের বাড়ির ঠিকানা দেখিয়ে ২০১৭ সালের ২৪নভেম্বর তারিখের পেয়ে যান বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র এনআইডি কার্ড।যার এনআইডি নং-৯১১২১৩২৫৩৬।পরবর্তীতে সেই নুর নাহার তার প্রবাসী স্বামী,ছেলে-মেয়েদের জন্মনিবন্ধন করেছেন বলে জানা গেছে।প্রতিবেদক হিসেবে যার অনুসন্ধান অব্যাহত রাখি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,রোহিঙ্গা নুর নাহার এর স্বামী রোহিঙ্গা রশিদ আহমদ একই ক্যাম্পের বাসিন্দা।তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকাকালিন সময়ে টলার যোগে পানি পথে মালেশিয়া চলে যান।সেখান থেকে বর্তমানে আসট্রেলিয়াতে প্রবাসী হিসেবে রয়েছেন।স্বামীর প্রবাসী জীবনবৃত্তান্তের ব্যাখ্যা নুর নাহার নিজেই স্বীকার করেছেন।

সূত্রে আরো জেনেছি,বিগত ২০২১ সালে নূর নাহারের ভাগ্নী জামাই আলিকিন এর প্রধান জকির ডাকাত এর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়ে ক্যাম্প ছাড়ছেন বলে জানান নুর নাহারের ছোট বোন।
দাপটের সাথে চকরিয়াস্হ খুটাখালী ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম গর্জনতলী এলাকাতে স্ব-পরিবারে আসেন রোহিঙ্গা নুর নাহার।সেখানে সরকারী রির্জাভ বনভূমির গাছপালা সহ পাহাড় কেটে বসতঘর তৈরী করাকালে,গত ২০২১সালে ২৪ ফ্রেরুয়ারী সংশ্লিষ্ট মেদাকচ্ছপিয়া বনবিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় রোহিঙ্গা নুর নাহারের কালো টাকার ভাড়াটিয়া কিছু লোকজন বনবিভাগের অভিযানকারী কর্মকর্তা,কর্মচারী ওপর হামলা চালায়।নুর নাহারের ছেলে সহ ভাড়াটিয়া লোকের হাত থেকে বাঁচতে বনকর্মীরা প্রায় ৩৫রাউন্ড গুলি ব্যবহার করেছিলেন।পরবর্তীতে নুর নাহার সহ ভাড়াটিয়া কথেক লোকজনের বিরুদ্ধে বনবিভাগ মামলা দায়ের করেছেন,যার মামলা নং-২৭/২১ইং।

খুটাখালীর সচেতন মহলের দাবী,রোহিঙ্গা নুর নাহার এলাকাতে আসার পর থেকে বিভিন্নভাবে সংঘাতের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।তার মূল কারণ হলো নুর নাহারের কালো টাকা সহ লাল,হলুদ বড়ি’র গরম আয়।ফলে গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি গ্যাং।টাকার পিছনে বাবারাও ঘুরে তার প্রমাণ।
এলাকাবাসীর দাবী-রাইহান নূর ও ওসমান গণি হচ্ছে রোহিঙ্গা মৃত জকির ডাকাত এর শালা এবং আলিকিন সংগঠনের সদস্য হতে পারেন।না হয় তাদের কথার ভঙ্গি শালিনতা বিহীন।

খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছৈয়দ হোসাইন বলেন,গর্জনতলী এলাকাতে ২/১বছর যাবৎ নুর নাহার বসবাস করছেন।গোপন সূত্রে জেনেছি নুর নাহার রোহিঙ্গা শরণার্থী মৌচনী ক্যাম্পের বাসিন্দা।তাই আমি বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আইনী ব্যবস্হা নেওয়ার চেষ্টা কবরো।

বিষয়টি সম্পর্কে সদর নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সংযোগ না পাওয়াতে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট