নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের কারখানাটি জুসের হলেও সেটার ভেতরে কোনও ফল দেখা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারখানাটি থেকে ৫২ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে পানি দেওয়ার পর বিভিন্ন ফ্লোর থেকে কেমিক্যাল ও প্লাস্টিক বর্জ্য বের হতে দেখা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলেছেন, এখানে বিভিন্ন কেমিক্যাল ছিলো। সেগুলো আগুনবান্ধব হওয়ায় আগুন তীব্র থেকে আরও তীব্রতর হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর অব অপারেশন লে. ক. জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘কারখানার ভেতরে অসংখ্য প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন, কেমিক্যালসহ দাহ্য পদার্থ ছিল।’
ফায়ার সার্ভিস কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কারখানার ভেতরে প্লাস্টিকের দানা, পলিথিন, বোতল সব পুড়েছে। কিছু মেশিন ছিল, সেগুলোও পুড়েছে। তবে ভেতরে কোনও ফল দেখিনি। কিছু নুডলস, সেমাই, লাচ্ছি ও জুসের প্যাকেট দেখা গেছে।’
সেজান জুস ‘ম্যাংগো জুস’ বলে বাজারে বিক্রি করে আসছে। তবে কারখানার কোথাও আম বা আমের তরল জুস দেখা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস পানি দেওয়ার পর ভবনটির ভেতর থেকে উপচে কেমিক্যাল চারপাশে বের হয়ে আসছে।
প্রসঙ্গত, রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় কারখানার ছয় তলা ভবনটিতে তখন প্রায় চারশ’র বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়কিকরণের প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে।
প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটি ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সবমিলে এ পর্যন্ত ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। কারখানায় আগুনের ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন।