পারিবারিক কলহের জেরে পুলিশ দম্পতির পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনায় স্বামীর পর এবার বরখাস্ত হলেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাজশাহী মেট্রোর উপপরিদর্শক (এসআই) সুমাইয়া বেগম লাকী।
বুধবার (৩০ জুন) রাতে মুঠোফোনে তিনি জানান, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এটি তিনি শুনেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও চিঠি পাননি।
সুমাইয়া বেগম লাকী বলেন, আজকেও (বুধবার) অফিস করেছি। সে (স্বামী) আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আজ হোক কাল হোক আমি সাসপেন্ড (বরখাস্ত) হবোই। কেননা কোনও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি সাসপেন্ড হবেন।
এর আগে স্ত্রী লাকীর মামলায় বরখাস্ত হন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড টান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল কবির সুমন। তিনি মুঠোফোনে বলেন, তার (লাকী) বরখাস্তের খবর শুনেছি। আমি নিজেও বরখাস্ত হয়ে আছি। এর বাইরে কিছু বলতে পারবো না।
বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতে রাজশাহীর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, আজকে (৩০ জুন) দুপুর ২টার দিকে তার বরখাস্তের চিঠি এসেছে। নিয়ম অনুযায়ী তাকে অফিসে হাজিরা দিতে হবে। এ জন্য তিনি অফিসে আসবেন। তবে কোনও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জেসমিন বেগম বলেন, সুমাইয়ার (লাকী) বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি এতদিন আমাদের জানা ছিলো না। যখন জানতে পারি তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন, সেই তারিখ (২৭ জানুয়ারি) থেকে তাকে সাসপেন্ড দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে সাসপেন্ড করে অফিস আদেশ জারি করা হয়।
২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রী সুমাইয়া বেগম লাকীর করা মামলায় একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে জামিন নেন এসআই ওবায়দুল কবির সুমন। এতে বাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গত ১ জুন তাকে বরখাস্ত করে ডিএমপি। এদিকে, গত ২৫ অক্টোবর সুমন স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর আদালতে ২০ লাখ টাকার একটি যৌতুকের মামলা করেন। এ মামলায় ওয়ারেন্টও জারি হয়। পরে ২৭ জানুয়ারি জামিন নেন লাকী।