প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ২৬ জুন ২০২২ ইংরেজি দৈনিক দৈনন্দিন কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত শিক্ষকের প্রলোভনের শিকার এক কিশোরী গোপন চ্যাটিং ফাঁস, রাহুলের শাস্তির দাবী শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ কিশোরী ও শিক্ষকের পরিবারের দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
প্রকৃত অর্থে শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক রাহুল ও
এর ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষক রাহুলের প্রতিভা ও পাঠদানের যে কারিগরি দক্ষতা তা দেখে কুচক্রী / স্বার্থনেশি মহলের কু- নজর পড়ে। কি ভাবে শিক্ষক রাহুলকে অপদস্ত করা যায় এ চিন্তা ভাবনা নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে এ রকম জঘন্য হীন কর্ম পরিকল্পনা মাফিক প্রত্রিকায় প্রকাশ করে। যার কারনে কিশোরী ও শিক্ষক রাহুলের পরিবারের মানহানি হয়েছে।
উক্ত সংবাদ প্রকাশের পর খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের জন প্রতিনিধিদের একটি টিম তদন্তে নামে। উক্ত তদন্তে কিশোরী ও শিক্ষের পরিবার কে স্থানীয় খুরুশকুল উচ্চ বিদ্যালয়ে ডেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে কিশোরী ব্যতীত হয়ে বলেন,
রাহুল স্যার অনেক অনেক ভালো। আমাকে নিয়ে কে বা কারা এ রকম সংবাদ পরিবেশন করিয়াছেন আমি তার বিচার সহ তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। এতে আমি মানষিক ভাবে ভেঙে ও পড়েছি।তাছাড়া আমার পরিবারের মানহানি ও হয়েছে। কেন তারা আমাকে ও আমার পিতৃতুল্য শিক্ষকে নিয়ে অবান্তর ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এ বিবৃতি বলতে গিয়ে কিশোরী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে কিশোরীর বড় ভাই বলেন, আমার বোনের কোন দোষ খুঁজে পাইনি। কেন এমন মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হল? এতে আমাদের পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি সহ মানহানি হয়েছে। উক্ত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ যারা পরিবেশন করেছেন আমি
তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। প্রয়োজনে তাদেরকে সনাক্ত করে ওদের বিরুদ্ধে মাননীয় বিজ্ঞ আদালতে মানহানীর মামলা করব। এদিকে শিক্ষক রাহুল বলেন, কিশোরী খুবই ভালো একজন ছাত্রী। আমি সকল ছাত্র -ছাত্রীদের কে নিজের ছেলে মেয়ের মতন শিক্ষা পরিবেশন করে আসছি। ঐ কিশোরী ও ব্যতিক্রম নয়। আমার ভালো পাঠদানে কিছু ব্যক্তির কু- নজর পড়ে। তারা কি করে আমার মানহানি করবে সে জন্য এ রকম হীন মানষিকতার পরিচয়ে এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এতে আমাদের দুই পরিবারের ও মানহানি হয়েছে। তাছাড়া আমার শিক্ষা পরিবেশন জীবনের অপূরনীয় ক্ষতি সাধন ও হয়েছে। আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সাথে আমি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাব, বিষয়টি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি ও জানাই।
এদিকে খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের তদন্ত কমিটির সামনেই উভয় পক্ষই এ রকম বক্তব্য পেশ করেন। তদন্ত কমিটি ও এ সংবাদের সত্যতা খুঁজে পাননি বলে মন্তব্য করেন।
সকলের বক্তব্য রেকর্ড করেন ও কিশোরীর লিখিত জবানবন্দি ও নেন বলে জানান কমিটির প্রধান প্যানেল চেয়ারম্যান অর্চনা প্রভা দে সহ সংরক্ষিত আসনের মেম্বার সুফিয়া ও স্বপন কান্তি দে প্রমুখ।
তদন্ত কমিটি ও উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এদিকে কিশোরীর পরিবার ও শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতিতে জানান, যারা এ রকম হীন মানষিকতার সহিত মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন তাদের শান্তি সহ উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ভবিষ্যতে এরকম বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য সকলের প্রতি ও জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিক ভাইদের কে বিনীতভাবে অনুরোধ জানান।
প্রতিবাদকারী
কিশোরী ও শিক্ষক রাহুলের পরিবারবর্গ।