সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়স বাড়ানোর দাবি উঠেছে সংসদে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহম্মদ কাদের ও বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ এ দাবি তোলেন।
সংসদে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সে কারণে উচ্চশিক্ষার শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি। আবার লকডাউনের কারণে অফিস-আদালতের কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় সরকারি চাকরির নিয়োগ কার্যক্রম থমকে আছে। এসব কারণে অনেকের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের নির্ধারিত বয়স ৩০ পার হয়েছে, অনেকের পার হওয়ার পথে। এসব কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করে ৩২ বছর করার উচিত বলে মনে করি।
তিনি বেসরকারি শিক্ষায় করারোপের বিরোধিতা করে বলেন, মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম প্রবর্তন করা প্রয়োজন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তিগত সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে ডিজিটাল যন্ত্র তুলে দেওয়ার বিষয়টি বাজেটে নেই। বাজেটে উচ্চশিক্ষায় ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল শিক্ষা) হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ খরচ শিক্ষার্থীদেরই বহন করতে হবে। এতে উচ্চশিক্ষার ব্যয় বেড়ে যাবে, উচ্চশিক্ষার প্রসার বাধাগ্রস্ত হবে। এই কর আরোপ না করার সুপারিশ করছি।
পরে অর্থ বিলের সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য কালে বিএনপির হারুনুর রশীদও একই দাবি জানান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সাল থেকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। সুতরাং আজকে যাদের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, তারা অস্থির অবস্থায় আছে। এটা বিবেচনায় রেখে অন্ততপক্ষে কোভিডকালে যতক্ষণ পর্যন্ত না করোনামুক্ত হচ্ছি, তার জন্য এই সময়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিকে এ ব্যাপারে একটা আশ্বাস দেবেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, বেসরকারি মানসম্মত স্কুল-কলেজে কর আরোপের পরিবর্তে এদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার। এদের আরও আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। তাহলে দেশে যে দক্ষ জনবল জনশক্তি করতে চাচ্ছি, সেক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি অগ্রসর হবো।