সীমিত ও কঠোর লকডাউনের ১৭ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানপাট খুলছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পাঁচদিন দোকানদাররা বেচাকেনা করতে পারবেন।
পাঁচদিন কতইবা বেচাকেনা হবে। দোকান খুললেই দোকানের মালিক হাজির হবেন তাদের ভাড়ার জন্য।
কতটুকু ভাড়া দিতে পারবেন এই নিয়ে তারা চিন্তিত।
বুধবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর রামপুরা সুপারমার্কেট, বঙ্গবাজার ও সিটি মার্কেটে ব্যবসায়ীরা এ চিন্তার কথা জানান।
রামপুরা সুপার মার্কেটের আনিকা কসমেটিকসের মালিক ইমন জানান, গত ১৭ দিন লকডাউনের পরে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমরা দোকান খুলতে যাচ্ছি। কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেও বিভিন্ন কারণে চিন্তায় আছি।
আমার দোকানের ভাড়া ১০ হাজার টাকা। আমি এই পাঁচদিন বিক্রি করে কতইবা লাভ করবো। তবে মার্কেটের সমিতির মাধ্যমে কথা হয়েছে, আমরা দোকান মালিকদের কাছে ভাড়া মওকুফের আবেদন করবো।
রাজধানীর বঙ্গবাজারের পাশে সিটি সুপার মার্কেটের এ ওয়ান শোরুমের মালিক মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, দেশে করোনার হানার পর থেকেই আমরা পোশাক ব্যবসায়ীরা খুবই বিপদে আছি। আগের কথা বাদই দিলাম। গত ১৭ দিন লকডাউনের পরে আমরা দোকান খোলার অনুমতি পেয়েছি। এই পাঁচদিন দোকান খুলে আমার মনে হয়না তেমন বিক্রি করতে পারবো। কারণ আমাদের কাস্টমাররা বেশিভাগ ঢাকার বাইরে। এই পাঁচদিনের জন্য তারা ঢাকার বাইরে থেকে কেউ মাল নিতে আসবে না। আমি দোকান ভাড়া দেই ২০ হাজার টাকা। এই পাঁচদিন বিক্রি করে এটা তো কোনমতেই দেওয়া সম্ভব না। তবে মার্কেটের অনেকেই আশাবাদী যে, আমাদের ভাড়াটা মওকুফ করবেন দোকান মালিকরা।
মালিবাগ মৌচাক মার্কেটের ভাড়াটিয়া এক দোকান মালিক জানান, পাঁচদিন কি আর বিক্রি করবো। তাছাড়া কোরবানির ঈদ। যাদের কাছে টাকা আছে তারা কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। দোকান ভাড়ার ব্যাপারে দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে। আশাকরি দোকান মালিকরা আমাদের ভাড়া মওকুফ করবেন।
এই ব্যাপারে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক দোকান মালিক জানান, এক মার্কেটে আমার দোকান আছে একটি। সেটার ভাড়া দিয়ে আমার সংসার চলে। তবুও করোনার কারণে মার্কেটের ভাড়াটিয়া দোকান মালিকরা দোকান খুলতে পারেনি। সরকার অনুমতি দিয়েছে পাঁচদিন বিক্রির জন্য, আমরাও সেইভাবে দেখার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে টানা ১৪ দিন কঠোর লকডাউন পালন করেছে সবাই। এই লকডাউনের আগে তিনদিন ছিল সীমিত লকডাউন। তখন থেকেই রাজধানীর সব মার্কেট বন্ধ ছিল।