বান্দরবানের লামায় ৬ বছরের এক ম্রো শিশুকে যৌন হয়রানি অভিযোগে শৈলেন্দ্র বড়ুয়া নামের এক আবাসিক হোস্টেল সুুপার ও পরিচালককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
(১৭ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ নির্দেশ দেন। এর আগের দিন শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মেয়েকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শৈলেন্দ্র বড়ুয়ার বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্টে আদালতে তোলেন পুলিশ। শৈলেন্দ্র বড়ুয়া কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের মিশন পাড়ার বাসিন্দা মৃত শ্যামা কিশোর বড়ুয়ার ছেলে ও বয়স ৪৫ বছর বলে আর্জিতে উল্লেখ করা হয়।
তবে মামলায় শৈলেন্দ্র বড়ুয়াকে উল্লেখিত ঠিকানায় দেখানো হলেও জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার সঠিক ঠিকানা উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের পোয়াং পাড়ায় এবং বয়স ৬৫ বছর।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শৈলেন্দ্র বড়ুয়া বলেন, একটি চক্র আমাকে এলাকা ছাড়া করে হোস্টেলের সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলা করে হয়রানি করছেন মাত্র।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং হেডম্যান পাড়াস্থ এভ্যান্টিস হোস্টেলে থেকে অন্য শিশুদের সাথে পড়াশুনা করে আসছে ওই ম্রো শিশুটি। গত ৭ নভেম্বর হোস্টেলে দেখতে গেলে শিশুটি বাবার সাথে বাড়ীতে চলে যায়। শিশুটিকে এর কারণ জিঙ্গাসা করা হলে ওই শিশুটি তার মা বাবাকে জানায়, গত ৩ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে হোস্টেল পরিচালক শৈলেন্দ্র বড়ুয়া তার বিছানায় গিয়ে যৌন হয়রানি করে।
এ বিষয়ে শৈলেন্দ্র বড়ুয়ার স্ত্রী মীরা বড়ুয়া জানায়, আমার স্বামী দুর্গম পাহাড়ি লুলাইং এলাকায় হোস্টেল নির্মাণ করে ২০০২ সাল থেকে অবহেলিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ম্রো শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানোর পাশাপাশি উন্নয়নে কাজ করে আসছেন। এর পাশাপাশি সেখানে আমার স্বামী ২৫ একর জমির উপর মুরগি ও মৎস্য খামার সহ বাগান সৃজন করেন। একটি মহল আমার স্বামাীকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে তিলে তিলে গড়া সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্যেই মূলত ৬বছরে শিশুকে যৌন হয়রানির মত মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানি করছে।
অভিযুক্ত শৈলেন্দ্র বড়ুয়ার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন, গজালিয়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মো. কুতুব উদ্দিন।