রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আলোচিত মেয়র মুক্তার আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকাসহ বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও দুই ভাতিজাকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) দিবাগত রাতে এ অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
পুলিশ জানায়, মেয়র মুক্তার আলীর বাড়ি থেকে নগদ ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, চারটি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও মদ উদ্ধার করা হয়। তবে পরিস্থিতি টের পেয়ে গোপন দরজা দিয়ে পালিয়ে যান পৌর মেয়র মুক্তার আলী। তাকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গতকাল বিকেলে আড়ানী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত মেয়রে মুক্তার আলীর ছেলের শ্বশুর শামীম হোসেনের ওষুধের দোকানে অভিযান চালান। এসময় মেয়রের বেয়াই শামীমের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়র মুক্তার আলী রাতে ওই বাজারের অপর দুই পল্লী চিকিৎসক জানারুল ও মনোয়ারুলের দোকানে প্রবেশ করে তাদেরকে মারপিট করেন। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশে অভিযোগ করা হয়। এরপর পুলিশ গভীর রাতে মেয়র মুক্তারের বাড়িতে অভিযান চালায়।
সূত্রগুলো আরো জানায়, রাত নয়টার দিকে পৌর মেয়র মুক্তার আলী আড়ানী বাজারের পল্লী চিকিৎসক জানারুল ইসলামের দোকানে প্রবেশ করে তাকে প্রথমে মারপিট করেন। এরপর মেয়রের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসীরা ওই বাজারের আরেক পল্লী চিকিৎসক মনোয়ারুল ইসলাম, তার স্ত্রী দিলরুবা এবং ৭ বছরের শিশু সন্তান অয়নক মারপিট করে। এ ঘটনায় আহত মনোয়ারুল ইসলামকে রাতেই বাঘা থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এরপর রাতেই পুলিশে অভিযোগ করা হলে এসপি মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ মেয়র মুক্তার আলীর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বিপুল পরিমাণ মাদক, নগদ ৯৪ লাখ টাকা এবং চারটি অস্ত্র উদ্ধারকরা হয়।
এ সময় মেয়র মুক্তার আলীকে পাওয়া না গেলেও বাড়িতে থাকা তার স্ত্রী জেসমিন আকতার এবং দুই ভাতিজা শান্ত ইসলাম ও সোহান আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপের প্রক্রিয়া চলছে। পরে এসপি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন রাজশাহী জেলা পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা