মেম্বার স্বপনের নেতৃত্বে উদ্ধার হল কালবার্টের মুখ ও নালা, জমির মালিকের প্রতি স্থানীয়দের কৃতজ্ঞতা।
(আনোয়ার হোছন)
সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হামজার ডেইল এলাকায় শত বছরের পুরানো কালবার্টের পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে পাহাড়ী মাঠি দিয়ে জমি ভরাটের অভিযোগে জমির মালিক নাজির হোছন সওদাগরের বিরুদ্ধে দৈনিক কক্সবাজার সংবাদে, দৈনিক কক্সবাজার বার্তা, অনলাইন নিউজ সিসিএন, প্রবাল নিউজ, কক্সবাজার ২৪ এ গত ৩১ জানুয়ারি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করা হয়। উক্ত সংবাদ গুলো প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে নড়েঁচড়েঁ বসে জমির মালিক। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বারের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তার মধ্যস্থতায় হামজার ডেইল ও শীল পাড়া এলাকার ২শতাধিক পরিবার ও শত শত একর জমির চাষাবাদের কথা চিন্তা করে জনস্বার্থে পানি চলাচলের জন্য জমিটি ছেড়ে দেয় জমির মালিক নাজির হোছন সওদাগর। জনস্বার্থে নিউজটি প্রকাশ করাই সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সরেজমিন দেখা যায়, খুরুশকুল শীল পাড়া কালি মন্দিরের পিছনে হামজার ডেইল সড়কের কালবার্টের মুখ ও পানি চলাচলের পুরানো নালাটি গাইড ওয়াল দিয়ে বন্ধ করে
পাহাড়ী মাঠি দিয়ে ভরাট করে দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে প্রায় ৮০ জন শ্রমিক নালাটি উদ্ধারে কাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, এই নালা ও কালবার্ট দিয়ে ৬নং ওয়ার্ডের হামজার ডেইল, শীল পাড়া, পূর্ব হামজার ডেইল(পাহাড়তলী) ও পূর্ব শীল পাড়া এলাকার পানি শত বছর ধরে চলাচল করে। এই পুরানো নালা ও কালবার্টটি বন্ধ থাকলে বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকার শত শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়বে এবং ঐ এলাকার শত শত একর জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। প্রথমে বন্ধ করলেও পরবর্তীতে পানি চলাচলের জন্য নালাটি জনস্বার্থে ছেড়ে দেয়াই জমির মালিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান স্থানীয়রা।
বন্ধ করা নালাটি উদ্ধারে কাজ চলাকালে জমির মালিক নাজির হোছন সওদাগরের ছেলে মো: সাহেদ উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সামনে বলেন-জমিটি আমাদের খতিয়ানভুক্ত। তারপরেও জনগনের কথা চিন্তা করে বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচলের জন্য জনস্বার্থে আমরা নালাটি ছেড়ে দিয়েছি। ইতিপূর্বে প্রকাশিত সংবাদের বিষের কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন কান্তি দে বলেন, এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে আমি স্থানীয় মেম্বার হিসাবে জমির মালিক নাজির হোছন সওদাগরের সাথে কয়েকবার বৈঠক করেছি। শত শত পরিবার বর্ষাকালে পানি বন্দি হয়ে পড়ার বিষয়টি চিন্তা করে পানি চলাচলের নালার জন্য ৫ ফুট জায়গা ছেড়ে দিতে সম্মত হন তিনি। বর্তমানে নালাটিতে কর্মসৃজনের ৮০ জন শ্রমিক কাজ করছে। জনস্বার্থে জমিটি ছেড়ে দেয়াই জমির মালিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান মেম্বার স্বপন। তিনি আরো বলেন- চেয়ারম্যান এবং ইউএনও মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে অতি দ্রুত নালাটি পাকা করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।