লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর (১৫) অনশন করার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (১০ জুলাই) উপজেলার ৩ নম্বর ভাদুর ইউনিয়নের মধ্য ভাদুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রামগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিলে রাতে অনশন ভেঙে বাবার বাড়ি ফেরত গেছে ওই স্কুলছাত্রী।
জানা গেছে, উপজেলার মধ্য ভাদুর গ্রামের প্রকাশ নাফিত বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে জনির সঙ্গে দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
স্কুলছাত্রীর অভিযোগ, জনি বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ-বৈঠক হলেও জনির পরিবার বিষয়টি মেনে নিতে তালবাহনা করছে।
ওই স্কুলছাত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘বিয়ের কথা বলে জনি আমার সর্বনাশ করেছে। এলাকা নয় উপজেলাব্যাপী ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়েছে। কোনও পথ না পেয়ে অনশন শুরু করেছি। এতে কাজ না হলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবো।’
ওই স্কুলছাত্রীর ভাইয়ের অভিযোগ, ‘আমার বোনের অনশনের খবর পেয়ে মা, বাবা এবং আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে জনির সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার মা গুরুতর আহত হলে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় প্রতারক জনি কৌশলে বসতঘর থেকে পালিয়ে যায়।’
তবে জনির মা বেবি বেগম বলেন, ছেলে অন্যায় করেছে বলেই কি মেয়ের অনশন করতে হবে? তাছাড়া মেয়ে দিন-রাত বসতঘরের সামনে উপস্থিত হয়ে ভাঙচুর করছে, এটা কেমন কথা।
রামগঞ্জ থানার এসআই অলি উল্যাহ বলেন, থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিয়ে মেয়েকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে সামাজিক সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তিনি।