বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, রুমা, থানচিসহ জেলা শহরের বাসস্টেশন, মধ্যম পাড়া, উজানী পাড়া, বালাঘাটা স্বর্ণমন্দির এলাকা, ইসলামপুর, কাসেম পাড়া, বনানী স’মিল, আার্মি পাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ, হাফেজ ঘোনাসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ।
ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন হাজারো মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ। টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বাড়ছে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও।
বান্দরবানের মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ বছর বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি এবং পাহাড়ধসের শঙ্কা বাড়ছে।
এদিকে বন্যা-কবলিত মানুষের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরমধ্যে ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে দুই হাজার ২০০ পরিবার। তাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ডিসি।
অন্যদিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানিবন্দি ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।