ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৯ আগস্ট ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফের বেপরোয়া টিআই কামরুজ্জামান,,দুইদিনে বৈধ যানবাহন থেকে হাতিয়ে নিলেন ৬ লাখ!

প্রতিবেদক
সিএনএ

আগস্ট ২৯, ২০১৯ ৫:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!


সিএনএ ডেক্স::  কক্সবাজারে যেকোন সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ টমটম মালিকসহ সাধারন চালকরা। বিশেষ করে মোটরসাইকেল, সিএনজি, টমটম, রিক্সা ও ছোট-বড় বাসগুলোর কাউন্টার কেন্দ্রিক হয়ে থাকে এসব বাণিজ্য। বলা চলে শহর ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ি এখন টাকার গাছে পরিণত হয়েছে।আর এসবের পেছনে রয়েছে দুর্নীতিবাজ টিআই কামরুজ্জামান।যার প্রতিমাসে অবৈধ আয় ২-৩ লাখ টাকা।

এদিকে, শহর জুড়ে অবৈধ যানবাহন আটক করে রমরমা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে টিআই কামরুজ্জামান। ট্রাফিক পুলিশের যে কর্মকর্তা অভিযান পরিচালনা করেন তাকে আসতে হবে অসাধু ট্রাফিক সার্জেন্ট কামরুজ্জামানের এর নিকট। এটা ট্রাফিক পুলিশের অলিখিত সংবিধান। এছাড়া সকল প্রকার অবৈধ যানবাহন রফাদফা করেন ওই অফিসার।
ভুক্তভোগী চালক-মালিকরা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেক করার নামে চাঁদা আদায় করে প্রতিনিয়ত। চাঁদা আদয়ের জন্য বৈধ ও অবৈধ মোটরসাইকেল,টমটম, সিএনজি ও অটোরিকশা থেকে কারণে ও অকারণে থামিয়ে কাগজপত্র দেখার অজুহাতে হয়রানি করে। গাড়ি বৈধ হলেও নানা অজুহাতে ট্রাফিক পুলিশের হাত থেকে চাঁদা না দিয়ে রেহাই নেই বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ আছে-গত সোমবার ও মঙ্গলবার অভিযানের নামে বৈধ/অবৈধ প্রায় ১৫০টির টমটম আটক করে ট্রাফিক পুলিশ।যেইগুলোর অধিকাংশের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।আটকের দিন বৈধ টমটম মালিকরা ট্রাফিক অফিসে ধর্ণা দিয়ে গাড়ি ছাড়াতে পারেনি।পরেরদিন বুধবার টিআই কামরুজ্জামান চেচিস অজুহাতে প্রতি গাড়ীর থেকে ৩-৫ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। ঔই হিসেব অনুযায়ী প্রায় ১শত টমটম ও ৫০ টি মোটর সাইকেল থেকে টিআই কামরুজ্জামান হাতিয়ে নেয় প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা।

এবিষয়ে জানতে টিআই কামরুজ্জামানকে ফোন করলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে কয়েকটি টমটম মালিকের প্রমানের কথা বললে তিনি লাইসেন্সের সাথে চেচিসের মিল না থাকায় প্রতি গাড়ী থেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান।

সুত্রঃঃ সিবিএম

সম্পর্কিত পোস্ট