লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :
বান্দরবান পার্বত্য জেলা লামায় ফাইতং ইউনিয়ন পাশ্ববর্তী “বানিয়ারছড়া দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায়” সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন সহ মোট ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুচারুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে (৪রা ডিসেম্বর) রবিবার সকাল ১২টায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফাইতং ইউনিয়ন আমজনতার পক্ষ থেকে সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উক্ত প্রতিষ্ঠান সভাপতি মো. আব্দুল জলিল কোম্পানি, যেহেতু শিক্ষার মান সংরক্ষণ সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে প্রায় অনেক বছর ধরে বৃহত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান্ট’তে কাজ করে আসছে, সেহেতু ফাইতংয়ের “বানিয়ারছড়া দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায় তথা বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান শিক্ষাক্ষেত্র সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখার চেষ্টা করে। অভিভাবক নিশ্চয়ই অবগত আছেন, এ যাবৎ প্রায় ১ ডজন শিক্ষানীতি বিভিন্ন সময়ে সময়ে এদেশের সরকার প্রণয়ন করেছেন। সংযোজন ও বিয়োজন।
মাদ্রাসা এক শিক্ষক বলেন, আমরা মনে করি,
“বানিয়ারছড়া দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায়” সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন, অনুষ্ঠানের পূর্বে সচেতন মানুষ আরো প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছি। যদিও গত বছরের ন্যায় এবারও দেশব্যাপি অনুষ্ঠিত হল”বানিয়ারছড়া দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায়” পরীক্ষা-২০২২ইং । এ নতুন ধারার পরীক্ষাটি ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য যেমন নতুন ও ব্যতিক্রমী তেমনি অভিভাবকদের জন্যও ছিল ভাবনার বিষয়। তারপরও সরকারের আন্তরিকতায় দ্বিতীয় বারের মত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠান আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রের কিছুটা হলেও অগ্রগতি হয়েছে তা বলা যায়।
ফাইতং “বানিয়ারছড়া দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল জলিল কোম্পানি, বরাবরই শিক্ষার প্রতি আন্তরিক হওয়ার কারণে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো এ সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠানের পূর্বে শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও নকল প্রতিরোধ আহবান ও কিছু বস্তু-নিষ্ঠু, আমজনতার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও শিক্ষক, সাংবাদিকদের অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের জন্য। তারা পরীক্ষা কেন্দগুলো পরিদর্শণ-পর্যবেক্ষণ করার সময় বেশ কিছু দারুণ প্রত্যাশিত তথ্য সংগ্রহ করেন স্থির চিত্রসহ।
সংবাদকর্মী পরীক্ষার্থীরা একে অপরের খাতা দেখে লিখলে এবং শিক্ষকগণ অনিয়ম করলেও তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিবে বল্লেন মো. আব্দুল জলিল কোঃ। ওই দীর্ঘসময়ে আমাদের দেশের শিক্ষার মান অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল বর্তমান সময়ে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক এবং রাষ্ট্রীয় কর্ণধাররাও। আর শিক্ষার এ অবক্ষয়ে আমরা অনেকেই ছাত্র/ছাত্রীদেরকে দায়ি করতাম। অথচ, এর জন্য অভিভাবক, শিক্ষক সর্বোপরি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ছিল অসাধারণ। এদেশের ভ্রান্তধারার রাজনীতি চর্চার ফলেই প্রায় সকল ক্ষেত্রের মত শিক্ষা ক্ষেত্রেরও দারুণ ছিল।
তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যেনো সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করে। সবক’টি কেন্দ্রের কর্তাব্যক্তিরা কোনো অনিয়ম-অনৈতিকতার আশ্রয় নেবেন না বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমরা চাই, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় “বানিয়ারছড়া দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায়” শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার মান এমন একটি পর্যায়ে উন্নীত হোক -যেনো সমগ্র দেশবাসী আমাদেরকে নিয়ে গর্ব করতে পারে।
