ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক :
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামায় উপজেলা ফাইতং ইউনিয়ন বানিয়ার ছড়া-ফাইতং সিএনজি ও ব্যটারিচালিত অটোরিকশা (টমটম) চালকদের বানিয়ার ছড়া থেকে ফাইতং বাজারে যাত্রী ভাড়া নিয়ে যেতে পাবে না মর্মে তর্কবিতর্ক মধ্যে দিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে আহত দু’পক্ষই ০৪ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। রবিবার (০২ এপ্রিল) বিকালবেলা ফাইতং বাজার ও দক্ষিণ নয়াপাড়া তিন রাস্তার মোড়ে সড়কে দু’পক্ষই তর্কবিতর্ক করে সংঘবদ্ধ হয়ে মারধর ঘটনা অভিযোগ উঠে। এই থেকে প্রায় এক’ ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয় চলাচল সড়কে। উত্তেজিত দুপক্ষের শ্রমিকরা শতাধিক সিএনজি-ব্যটারীচালিত অটোরিকশা শ্রমিক উপস্থিত দেখা যায় ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ বিকাল থেকে সন্ধ্যায় ফাইতং সড়কে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শামিম শেখ নেতৃত্ব একটি টিম উপস্থিত দেখা যায়।
সিএনজি-ব্যটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বানিয়ার ছড়া ইজিবাইক টমটম মালিক -শ্রমিক সমবায় সমিতি লিঃ (রেজিঃ নং ৭২৬) এবং সিএনজি অটোরিকশা মাহিন্দা চালাক সমবায় সমিতি (রেজিঃ নং ২৭৯) শ্রমিকরা পাল্টা অবস্থান নেয়। ফাইতং এলাকার প্রধান সড়কে চলাচল করছে। এর মধ্যে বানিয়ার ছড়া ইজিবাইক টমটম যাত্রী নিয়ে চলাচল করতেন, বানিয়ার ছড়া,খেদারবান,সুতাবাদী,মহিষখালী পাড়া,ধুইল্যাছড়ি স্থানী বেশ কয়েকটি রাস্তায় যাত্রী ভাড়া নিয়ে যেতেন। হঠাৎ করে নতুন লাইন বানিয়ার ছড়া হয়ে ফাইতং বাজার লাইন চালু করতে গিয়ে দু’পক্ষে সংঘর্ষে হয়। বানিয়ার ছড়া থেকে ফাইতং বাজার আসা সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিকদের যাত্রী ভাড়া নিয়ে ফাইতং বাজারে পৌঁছালে বিক্ষুব্দ রিকশা শ্রমিকদের বাঁধা প্রদান করলে আরো উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় দুপক্ষের শ্রমিকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং সিএনজি ও ব্যটারিচালিত আটরিকশা শ্রমিক উভয়ই মধ্যে মারধর ঘটনা ঘটে।
দফায় দফায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উত্তেজিত দুপক্ষের শ্রমিকরা ফাইতং বাজার ও তিন রাস্তার মোড়ে সড়কে দক্ষিণ নয়াপাড়া এলাকায় প্রায় ১০-১৫টি সিএনজি-
অটোরিকশা এবং অর্ধশতাধিক ব্যটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ও সিএনজি শ্রমিকরা ফাইতং সড়ক এলাকায় অবস্থান নেন এবং বানিয়ার ছড়া ফাইতং ইজিবাইক টমটম মালিক -শ্রমিক সমবায় সমিতি কার্যালয় সামনে অবস্থা দেখা যায়।
সংঘর্ষে সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক ১জন ও রিকশা শ্রমিক ২ জন আহত হয়ে পাশ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। সংঘর্ষ চলাকালে মনিরুল ইসলাম (৩৬),নান্না মিয়া (৪৫),পান্না মিয়া (৫০) সহ উভয় পক্ষে ৩-৪ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পান্না মিয়ে নামে ব্যটারিচালিত আটোরিকশা চালক মারাত্মক জখমী হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সচেতন নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নেন। এদিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়কালীন সময়ে সন্ধায় দিকে ফাইতং ইজিবাইক টমটম মালিক -শ্রমিক সমবায় সমিতি কার্যালয় সামনে সিএনজি-অটোরিকশা ইউনিয়ন প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান নেওয়ার পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।
সিএনজি-অটোরিকশা-মাহিন্দা সমবায় সমিতি সভাপতি ইমাম উদ্দিন জানান, এই সড়কে দীর্ঘ ২০-২৩বছর পর্যন্ত সিএনজি দিয়ে যাত্রী ভাড়া চলায় আসছি, হঠাৎ করে ফাইতং বাজার ও তিন রাস্তার মোড়ে বামিয়ার ছড়া থেকে সিএনজি আমাদের একজন শ্রমিক সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশা শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে চালককে মারধর করে। পরে অটোরিকশা শ্রমিকরা ফাইতং থেকে আমাদের ৪-৫টি সিএনজি আসা সময়ে শ্রমিক’কে হামলায় করে সংগঠনের ২-১জন শ্রমিক আহত হয়।
অটোরিকশা শ্রমিক সভাপতি মোহাম্মদ মুকাদ্দেস জানান, অটোরিকশা টমটম শ্রমিক আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যাত্রী ভাড়া নিয়ে আশা যাও করি। এর মধ্যে সময়অসময়ে সিএনজি শ্রমিকরা আমাদের বাঁধা দেন। আজ সংগঠন অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়ে ২-৩জন গুরুত্ব আহত হয়। পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে সন্ধায় বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন। এসময় আমাদের বানিয়ার ছড়া-ফাইতং থেকে সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা এলাকয় রিকশা শ্রমিক সংগঠনের নেতা’দের নেতৃত্বে শ্রমিকরা উপস্থিত হয়। যাত্রী ভাড়া নিয়ে বানিয়ার ছড়া থেকে ফাইতং বাজারে না নিতে বাঁধা প্রদান করে এবং হামলা চালায়। রিকশা শ্রমিকদের হামলা চালিয়ে আমাদের শ্রমিক’দের আহত করে।
ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শামিম শেখ জানান, সিএনজি ও ব্যটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কঠোর অবস্থান নেওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত এবং ফাইতং ঘটনা স্থল সড়কে পুলিশ রয়েছে। এ ব্যাপারে কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি। আগামীকাল সোমবার বিষয়টি সমাধানে দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হবে। দুপক্ষকেই শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক বলেন,অন্যায় ভাবে অটোরিকশা শ্রমিকদের উপর হামলা করছে। সরকার রাস্তা করে দিয়েছে সকল গাড়ির জন্য উন্মক্ত তবে দুপক্ষের সুন্দর সমাধান কামনা থাকবে।