কক্সবাজার: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ভর মৌসুমে পর্যটক খরায় ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। নির্বাচনের আগে টানা ছুটিতেও এখানে তেমন কোন পর্যটকের দেখা মেলেনি। এমনকি প্রতি বছর থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ঢল নামে। কিন্তু এবার চিত্র ছিল ভিন্ন। পর্যটকের নিরাপত্তার বিষয় মাথা রেখে ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট উৎসব উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন জেলা প্রশাসন। তাছাড়া নির্বাচনের দুই থেকে কক্সবাজার থেকে দুর পাল্লার বাস চলাচল করেনি। যার জন্য হয়নি প্রত্যাশিত পর্যটকের সমাগম। এতে হতাশায় ডুবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে নির্বাচনের পর পরই কক্সবাজারে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক। গত শুক্রবার সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় দেখা যায় পর্যটকদের। তিন শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনের পথে যেতে দেখা গেছে। সে হিসেবে কক্সবাজারে পর্যটকের উপস্থিতিও আগের তুলনায় বেড়েছে। বর্তমানে সেন্টমার্টিন নৌরুটে স্বাভাবিকভাবে চলছে পর্যটকবাহী জাহাজ। পর্যটকদের নিরাপত্তা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান সংবাদকে বলেন, কক্সবাজারে পর্যটকের উপস্থিতিও গত দু’দিনে বেড়েছে। সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও স্বাভাবিকভাবে চলছে। দুর পাল্লার যান চলাচলও করছে পর্যাপ্ত। পর্যটকদের নিরাপত্তা সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
গ্রিন লাইন পরিবহনের কক্সবাজার অফিস ইনচার্জ সোলতান আলম জানান, কয়েক দিন থেকেই বাস চলাচল করছে। দূরপাল্লার গাড়িতে যাত্রীদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ঢাকার উত্তরা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা শাহীন ইসলাম বলেন, ইচ্ছে ছিল কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট উদযাপন করবো। কিন্তু নির্বাচনের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবুও নির্বাচনের পর প্রশান্তির খুঁজে ছুঁটে এলাম এখানে। কক্সবাজারে পর্যটন মোটেল লাবণীর ম্যানেজার রাশেদ খান জানান, প্রতিদিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সোলতান জানান, ৩০ ডিসেম্বর এর আগে পর্যটক আসতে পারলে শতকোটি টাকা ব্যবসা হতো। এবার তা হয়নি। তবে এখন পর্যটক আসা শুরু করায় আশার আলো দেখছে ব্যবসায়ীরা।