ঢাকামঙ্গলবার , ১৫ নভেম্বর ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তুমব্রু সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার

প্রতিবেদক
সিএনএ ডেক্স

নভেম্বর ১৫, ২০২২ ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিএনএ ডেক্স :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে র‌্যাবের সঙ্গে মাদক চোরাকারবারিদের গোলাগুলিতে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলে ও। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান চালায় র‌্যাব এবং ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা। এ সময় অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠনের মাদক চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় র‌্যাবের গোলাগুলি হয়। এতে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তার (বিমান বাহিনী) মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রুবেল বড়ুয়া নামে র‌্যাবের একজন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হন। হতাহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় র‌্যাব এবং ডিজিএফআই যৌথভাবে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা শহিদ হন। তিনি বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। র‌্যাবের এক সদস্যও আহত হয়েছেন।

এদিকে র‌্যাবের সঙ্গে সশস্ত্র চোরাকারবারিদের গোলাগুলিতে তুমব্রু সীমান্ত এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু সাহা বলেন, যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র চোরাকারবারিদের গোলাগুলি হয়েছে। সরকারি বাহিনীর একজন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। সীমান্ত এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হতাহতদের কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের খবরে সশস্ত্র চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের অস্ত্রধারীরা র‌্যাবকে টার্গেট করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে দেড় ঘণ্টার মতো গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে ঘুমধুম ইউনিয়নের আশপাশের এলাকাগুলো। ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক নারীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরও পেয়েছি। ঘটনার পর থেকে সীমান্তজুড়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নিরাপত্তায় বিজিবি ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র : দৈনিক সমুদ্র কন্ঠ

সম্পর্কিত পোস্ট