ঢাকামঙ্গলবার , ১১ ডিসেম্বর ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টেকনাফ সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি’র মহাপরিচালক

প্রতিবেদক
সিএনএ

ডিসেম্বর ১১, ২০১৮ ১:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলাম গত দুইদিন ধরে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট ও বিজিবি’র কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে। বিজিবি মহাপরিচালক ৯ ডিসেম্বর রবিবার বিকালে সড়ক পথে টেকনাফ সফরে এসে সোমবার ১০ ডিসেম্বর সকালে হেলিকপ্টার যোগে টেকনাফ ত্যাগ করেন। সফর কালে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ও টহলদান কার্য্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির সাথে একমত পোষণ করে মাদক চোরাচালান দমনে সকলকে আরও আন্তরিক এবং কঠোর হওয়ার আহবান জানান।
জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলাম টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন এবং কোয়ার্টার গার্ড এলাকায় বৃক্ষ রোপন করেন। এসময় কক্সবাজারের রামু রিজিয়ন সদর দপ্তরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান, সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এসএম বায়েজীদ খান, টেকনাফ-২ বিজিবির পরিচালক অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরীসহ অন্যান্য সফরসঙ্গী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
টেকনাফ-২ বিজিবির পরিচালক অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী ১০ ডিসেম্বর প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ‘৯ ডিসেম্বর রবিবার মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলাম টেকনাফ ব্যাটালিয়নে আগমন করেন। ব্যাটালিয়ন সদরে আগমনের সময় পথিমধ্যে তিনি টেকনাফের শীলখালী ও কচ্ছপিয়া মৌজায় ক্রয়কৃত টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বিজিবি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের জমি পরিদর্শন করেন এবং টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় টেকনাফ জেটিঘাটে নাফ নদীতে জলযান যোগে বিজিবি সদস্যদের টহল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় উপস্থিত সকল অফিসারের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযানের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে যে কোন মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরন করা, সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এবং সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান রোধে আভিযানিকভাবে আরও কার্যক্ষম করার নির্দেশ দেন। ব্যাটালিয়ন সদরে এসে সীমান্তে সদ্য স্থাপিত ‘স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের’ এর অংশ হিসেবে ‘বর্ডার সার্ভেইল্যান্স এন্ড রেসপন্স সিস্টেম’ এর কট্রোল রুম পরিদর্শন করেন। টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের সাথে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের ৫৪ কিলোমিটার জলসীমা রয়েছে। উক্ত জলসীমায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধ চলাচল, চোরাকারবারীদের বিশেষ করে ইয়াবা পাচারকারীর গতিবিধি ও অন্যান্য আন্তঃ সীমান্ত অপরাধসমূহ মনিটরিং করতঃ দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্তে মহাপরিচালকের দিক নির্দেশনায় পুরো ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ‘বর্ডার সার্ভেইল্যান্স এন্ড রেসপন্স সিস্টেম’ এর আওতায় আসছে’।

সম্পর্কিত পোস্ট