সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের আব্দুল হাফিজ নামের এক যুবক বুকে ব্যথা নিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্বজনরা স্থানীয় নোয়াখালি বাজারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা বাড়ি নিয়ে এসে বিকেলে তার জানাজার আয়োজন করে। আসরের নামাজের পর জানাজার প্রস্তুতির সময় নড়েচড়ে ওঠেন ‘মৃত ব্যক্তি’।
পরে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। এখানে আসার পর আবারও ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামলাবাজ গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন জানান, আব্দুল হাফিজ (৩৮) পেশায় একজন ধান ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি জামলাবাজ গ্রামে ধান কিনছিলেন। এ সময় পাল্লা দিয়ে ধান ওজনকালে তার বুকে ব্যথা অনুভব হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের লোকজন স্থানীয় নোয়াখালী বাজারে নিয়ে গেলে পল্লী চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেলে স্বজনরা গ্রামের মসজিদের মাঠে জানাজার আয়োজন করে। এ সময় তিনি নড়েচড়ে উঠলে হইচই শুরু হয়।
তিনি জানান, জানাজার আগে এলাকার মানুষজন তাকে শেষবার দেখতে চাইলে কাফন সরিয়ে মুখ খোলার পর দেখেন, মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে। তখনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।
নোয়াখালি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও জামলাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল বাছিত সুজন বলেন, সকালে আমাদের বাজারের এক চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেলে জানাজার আগে তাকে শেষ দেখা দেখতে গিয়ে দেখা যায় তিনি জীবিত। পরে জরুরি ভিত্তিতে তাকে সুনামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন