ঢাকাশনিবার , ৫ আগস্ট ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুরুস্কুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে আবারো এক যুবক খুন! আটক-৫

প্রতিবেদক
আনোয়ার হোছন

আগস্ট ৫, ২০২৩ ১:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খুরুস্কুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে আবারো এক যুবক খুন! আটক-৫।

(আনোয়ার হোছন)

কক্সবাজার সদরের খুরুস্কুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে আবারও খুনের ঘটনা ঘটেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলার একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঐ যুবকের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঐ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বলে জানা যায়। নিহত যুবকের নাম খোরশেদ আলম। সে খুরুস্কুল ইউনিয়নের মনু পাড়ার মোহাম্মদ শফি প্রকাশ বাইল্যার বড় ছেলে এবং স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নাছির উদ্দিনের ভাতিজা।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, নিহত
খোরশেদ আলমের সাথে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে প্রায় সময় আর্থিক লেনদেন হতো। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলায় ঠিকাদার ও নির্মাণ শ্রমিকদের একটি কক্ষে খোরশেদ আলমের লাশ পাওয়া যায়। তবে খোরশেদ আলমকে হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কিছু তা কেউ নিশ্চিত নন।

নিতহ খোরশেদ আলমের ঘনিষ্ঠ সহচর টমটম চালক মো: খালেক জানান-খোরশেদ আমার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা পাইত। আমি সন্ধ্যায় সময় টাকা দেয়ার জন্য তাকে ফোন করি কিন্তু একাধিক বার ফোন করার পরেও সে রিসিভ না করাই আমি প্রকল্পের ঐ বিল্ডিংএ যায়। তখন রাত ৭.৩০টা থেকে ৮ টা হবে। আমি বিল্ডিংয়ের নিচে গিয়ে সহকারী কন্ট্রাক্টর লালনের কাছে খোরশেদ আলমের কথা জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে, কোন খোরশেদ আলম আমি চিনি না। তার কথা শুনে আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি তাদের রুমে ঢুকতে চাইলে লালন সহ শ্রমিকরা আমাকে বাধা দেয়। আমি জোর করে রুমে ঢুকলে দেখি খোরশেদ আলমের লাশ পড়ে আছে। তখন আমি দ্রুত তার বাড়ীতে খবর দিই। আমার জানা মতে ঐ বিল্ডিং এর সহকারী কন্ট্রাক্টর লালনের সাথে খোরশেদ আলমের ২/৩ বছরের সম্পর্ক। খোরশেদ আলম প্রায় সময় লালনের রুমে থাকত। লালন সহ ঐ বিল্ডিংয়ের শ্রমিকদের কাছ থেকে খোরশেদ আলম অনেক টাকা পাবে। আমার ধারনা টাকার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত খুরুশকুল ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার নাছির উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনা শুনার পর এসেছি। আমার ধারণা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত খোরশেদ আলমের লাশের ময়না তদন্ত শেষে দাপন কার্য সম্পন্ন করে আত্নীয়-স্বজনদের সাথে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করা হবে।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে খুরুস্কুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে এক যুবককে মারধর করে খুনের পর ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনায় হত্যা মামলাও রুজু হয়েছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট