ঢাকাবুধবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুরুশকুলে বখাটেদের হাতে কিশোরী ধর্ষণ! আটক-১

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩ ৮:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খুরুশকুলে বখাটেদের হাতে
কিশোরী ধর্ষণ! আটক-১।

(নিজস্ব প্রতিবেদক)

কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলের ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই সংক্রান্তে সদর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা রুজুর পর পরই ঘটনার সাথে জড়িত আসামী আব্দু খালেক(২২) কে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, খুরুশকুল মেহদী পাড়া এলাকার জনৈক সাহাব উদ্দিনের ১৪ বছরের কিশোরী মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে একই এলাকার জয়নালের বখাটে ছেলে মো: ইমন(২৫) বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিত। কিশোরীর বাবা বিষয়টি বখাটে ইমনের পরিবারকে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকী দেয়। এতে কিশোরীর বাবা নিরুপায় হয়ে মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে ঐ কিশোরী তার এক বান্ধবি সহ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে বেড়ানো শেষে বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে রাস্তায় দাড়াঁলে বখাটে মো: ইমন তার বন্ধু একই এলাকার ইউসুফের ছেলে আব্দু খালেক(২২), মৃত ফরিদের ছেলে রিফাত(২১), নুরুল আলমের ছেলে সফিউল আলম(২৩) দের নিয়ে সিএনজি যোগে এসে ঐ কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণ করত: নিশান গেষ্ট হাউজ নামীয় কটেজে নিয়ে যায় এবং ১৪ বছরের ঐ কিশোরীকে বখাটে ইমন অন্যান্যদের সহায়তায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে ঐ কিশোরী অজ্ঞান হয়ে গেলে বখাটে ইমন তার বন্ধুদের সহায়তায় ধর্ষিত কিশোরীকে সিএনজি গাড়ী যোগে নিয়ে খুরুশকুল গাজীর ডেইল কবর স্থানের পাশে ফেলে দেয়। পরে কিশোরীর আত্নীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঐ কিশোরী বর্তমানে সদর হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বখাটে মো: ইমন একজন চিহ্নিত কিশোর গ্যাং লিডার। ইতি পূর্বে সে তার বন্ধু রিফাত, সফিউল, খালেক সহ অন্যান্যদের সহায়তা একাধিক ঘটনা করেছে। একজন ১৪ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বখাটে মো: ইমন বেপরোয়া হয়ে উঠার পিছনে তার বাবার আশ্রয়-পশ্রয় ও নিরবতাকে দায়ী করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তাঁরা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সবার সর্বোচ্ছ শাস্তি দাবী করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট