(সংবাদ প্রকাশের পর)
খুরুশকুলের সেই অসহায় নারীকে দেয়া হল ভিডব্লিউবি’র চাউল।
(নিজস্ব প্রতিবেদক)
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের সেই অসহায় মহিলাকে অবশেষে ৩ মাসের চাউল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঐ অসহায় মহিলাকে ৫ মাস ধরে ২০২৩-২০২৪ চক্রে ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) এর চাউল না দেয়ার অভিযোগে গত ১২ জুলাই (বুধবার) দৈনিক কক্সবাজার সংবাদে সংবাদ প্রচার করা হলে নড়েচড়ে বসে খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকী। পরবর্তীতে গত ১৮ জুলাই (মঙ্গল বার) তাকে ফোন করে ডেকে এনে ৩ মাসের চাউল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঐ ভুক্তভোগী অসহায় মহিলার বাড়ী খুরুশকুল ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের তেতৈয়া এলাকায় তার নাম রুকসুমা আক্তার,স্বামী আব্দুল করিম।
উল্লেখ্য ঐ অসহায় নারী নিরুপায় হয়ে ককক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল। দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রুকসুমা আক্তার গরীব, অসহায় হওয়াই ইউনিয়ন পরিষদ সচিব তাকে একটি ভিডব্লিউবি’র চাউলের একটি কার্ড করে দেন। মাস্টার রুলের ৩৬ ক্রমিকে তার নাম থাকা সত্ত্বেও বিগত ৫ মাস ধরে তাকে চাউল দেয়া হচ্ছিল না। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তার স্বামীর পক্ষে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই ইউএনও’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
৩ মাসের চাউল পাওয়ার বিষয়ে জানার জন্য ভুক্তভোগী মহিলার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার স্বামী আব্দুল করিম মোটোফোনে বলেন-সচিব সাহেব ফোন করে আমার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে ৩মাসের চাউল দিছেন এবং অবশিষ্ট ২মাসের চাউল আগামীতে চাউল দেয়ার সময় একসাথে দিয়ে দিবে বলেছে। তিনি আরো বলেন ঐ সময় আমার স্ত্রীর কাছ থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে সচিব সাহেব। যে কাগজে ৫ মাসের চাউল বুঝিয়ে পাওয়া কথা উল্লেখ ছিল বলে আমার স্ত্রী জানিয়েছে। ভুক্তভোগী মহিলার স্বামী কথা বলার সময় দৈনিক কক্সবাজার সংবাদ পত্রিকাকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে গরীব, অসহায়দের পক্ষে থাকার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো: হুমায়ুন কবির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-ইউএনও স্যারের নির্দেশে ঐ মহিলাকে ৩ মাসের চাউল দিয়ে দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট চাউল গুলো আগামীবারে দিয়ে দেওয়া হবে।