কবিতা- নতজানু
কলমে – সনজিত চন্দ্র নাথ
বিষাদে বিস্ময়ে তোমার দুচোখে তাকিয়ে দেখেছি
নতজানু ভালোবাসার দাম কখনো কেউ দেয় না
নিঃস্ব চরাচরে দিগভ্রান্ত হয়ে কাঙ্গালের বটতলায়
আসে বসে বাতাসের স্নিগ্ধতা বুকে টেনে নেয়
শরীরের দামে কিনে নেয় বেশুমার নীলাম্বরী শাড়ী
ধবধবে শাদা মেঘে উড়িয়ে মিলায় নিঃশব্দের তরী।
অগণিত লোকেরে শুধিয়ে দিয়ে নতজানু প্রেম
কর্পুরের মতো মিলিয়ে গ্যাছে শেষে অর্কিড প্রান্তরে
বেলা শেষ হয়ে আসে রাখালের যৌবনে পড়ে ভাটা
আস্ত নীল দীঘির জলে ভেসে উঠে পীতাম্বরের লাশ।
প্রেম তুমি কাঙ্গালের তরে দুচোখের বিষ হয়ে এসো
ঘোড়ার ক্ষুর দিয়ে লাথি দাও শুধু অর্বাচিনের মুখে
এ খেলার পরাজিতের হাহাকার শুধিয়ে লাভ নেই
মন সেতো নাটাই বিহীন ঘুড়ি উড়ে যায় নতুন প্রান্তরে।
এর চেয়ে ঢের ভালো শরীরকে কিনে নাও কড়ির দামে
আস্ত পতিত মাঠে দূর্বাদলে চলা অগণিত পরিভ্রমণ
মন সেতো মূল্যহীন কেউ তার রাখেনা খবর
বিরহী পল্লবী জানে খরস্রোতা নদীর আনাচে কানাচে
মন ভাঙ্গা কিংবা গড়ার কতটা জোয়ার বয়ে যায়।