নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৫ জুলাই পর্যটন শহর কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৩ জুলাই রাত ১২টায় শেষ হয়েছে সব ধরণের নির্বাচনী প্রচারণা। ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত রয়েছে। এ জন্য র্নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার কথা নিশ্চিত করেন। নিরাপত্তার জন্য নির্বাচনী মাঠে নামানো হচ্ছে প্রায় ১ হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ২৪ জুলাই থেকেই নিরাপত্তা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন জানান, কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৩৯টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। সবগুলো কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এটাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করেছেন। ইতোমধ্যে ১২ ওয়ার্ডের ৩৯টি কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজার এসেছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের জন্য ১ জন করে ম্যাজিস্ট্রেটদেয়া হয়েছে। তাদের সাথে রয়েছে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর ৬টি টহলদল এবং প্রত্যেক কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৪ জন পুলিশ থাকবে। প্রতি দুইটি কেন্দ্রের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। সব মিলে প্রায় ১ হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী দরকার হলে আরো ১ প্লাটুন বিজিবি দেয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ১২টি ওয়ার্ডের মোট ৩৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ওইসব কেন্দ্রে মোট ভোট কক্ষ থাকবে ২২৪টি। অস্থায়ী কক্ষ থাকবে ১১টি। নির্বাচনে ৮৩ হাজার ৭২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ও নারী ভোটার রয়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। ৩৯টি ভোটেকেন্দ্রে ৩৯ জন প্রিসাইডিং অফিসারের তত্ত্বাবধানে ২২৪ জন সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও ৪৪৮ জন পোলিং এজেন্ট দায়িত্ব পালন করবেন। এবারের পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
তিনি কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা করা দরকার তা সবই করা হচ্ছে। নির্বাচনে প্রায় ১ হাজার জন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ৪ স্তুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।