নিউজ কক্সবাজার: কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভের পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে সমুদ্র আর পাহাড়ের মিতালীর সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের আশঙ্কা বাড়ছে। তাই মেরিন ড্রাইভ এলাকাকে বিশেষায়িত অঞ্চল ঘোষণা করার প্রস্তাব দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক।কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়ক কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার। একপাশে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। অন্যপাশে পাহাড়। এর মাঝ দিয়ে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনী। সেখানে সমুদ্র সৈকত আর পাহাড় টিলার মিতালী দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমে পর্যটকদের। উখিয়ার ইনানী থেকে টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার সড়কের পূর্ব পাশে পাহাড়ের ঢালে রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। এরই মধ্যে এসব জায়গা কিনেছে দেশের নামিদামি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মেরিন ড্রাইভ ঘেঁষে গড়ে উঠছে অপরিকল্পিত স্থাপনা। পরিবেশকর্মী অ্যাডভোকেট রমিজ আহমেদ অভিযোগ করেন, এসব অবৈধ ও অপরিকল্পিত স্থাপনার ফলে আড়াল হচ্ছে প্রকৃতি। আর এ কারণেই এই সড়কের সৌন্দর্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় বিশেষায়িত এলাকা ঘোষণা করে পরিকল্পিত থিমেটিক নগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন। উল্লেখ্য, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের প্রতিযোগিতা শুরু হলে মেরিন ড্রাইভের দু’পাশে অবৈধ দখলদারিত্ব শুরু হওয়ার আশঙ্কাও করছেন পরিবেশকর্মীরা।