নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের এবিসি ঘোনা এলাকার জনৈক আলী মিস্ত্রীর স্ত্রী জাহেদা বেগম প্রকাশ জব্বারের মা ও একই এলাকার জনৈক আক্তার কামালের ছেলে রাসেল দীর্ঘদিন দিন ধরে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। যেন দেখার কেউ নেই। এলাকার উঠতি বয়সের তরুন যুবক দিন দিন আশঙ্কা জনক হারে ইয়াবায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শহরতলীর এবিসি ঘোনা, সমিতি বাজার, দক্ষিণ পাহাড়তলীর ইসলাম পুর, বাঁচা মিয়ার ঘোনা, সবুজ বাগ চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার ইয়াবা আসক্তরা প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জাহেদা এবং রাসেলের কাছ থেকে খুচরা ইয়াবা ক্রয় করে বলে জানা যায়। ইয়াবা আসক্তরা ইয়াবার টাকা যোগাড় করতে শহরের বিভিন্ন স্পটে পর্যটক ও স্থানীয় মানুষের মোবাইল টাকা ছিনতাই করে ইয়াবার টাকা সংগ্রহ করে।
এই এলাকায় রাতের বেলায় শহরের চিহ্নিত ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন দাগী অপরাধীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এই এলাকা যেন শহরের বিভিন্ন পর্যায়ের অপরাধীদের আশ্রয় স্থল। মাঝে মাঝে সদর মডেল থানা পুলিশ ঐ এলাকায় অবস্থান নেয়া অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান চালায়। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারে না। কারণ পুলিশ এলাকায় প্রবেশ করার সাথে সাথে ইয়াবা কারবারিদের কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে খবর পৌঁছে যায় আর খুচরা ইয়াবা কারবারিরা তাদের নিয়মিত ক্রেতা শহরের চিহ্নিত ছিনতাইকারী অপহরণকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের কাছে পুলিশ আসার খবর পৌঁছে দেয়।
পুলিশ অপরাধীদের অবস্থান স্থলে আসার আগেই তারা নিরাপদে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে আমাদের অনুসন্ধানী টিম নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানতে পারেন। এই এলাকা পাহাড়ি এলাকা হওয়াই অপরাধীরা পুলিশি অভিযানে ধরা পড়েনা।পুলিশ অভিযানে গিয়ে এলাকার চায়ের দোকান বাড়ি ফেরা রাজমিস্ত্রি ও রাজমিস্ত্রি যোগালী সহ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।মাঝে মাঝে সমন্বিত অভিযানে দাগী আসামীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।বর্তমানে এই এলাকায় জাহেদা বেগম এবং রাসেল যে ভাবে খুচরা ইয়াবার কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বৃহত্তর দক্ষিণ রোমালিয়ার ছাড়া এলাকার ছাত্র তরুন ও যুব সমাজ ইয়াবার আসক্ত হয়ে চরম ধ্বংসের মুখে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এলাকার কোন সাধারণ মানুষ তাদের অবৈধ ইয়াবা কারবারের প্রতিবাদ করতে সাহস করে না। কেন না এই ইয়াবা কারবারিদের একাধিক শহর ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা রয়েছে অপর দিকে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীদের মদদ রয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ভুক্তভোগী অভিভাবকেরা।
তথ্য রয়েছে স্থানীয় কতিপয় অসাধু সংবাদকর্মীরা মাসে মাসে তাদের কাছ থেকে মাসোহারা গ্রহন করে বলে জানিয়েছে ইয়াবা কারবারে জড়িতরা। অনতিবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে এই চিহ্নিত ইয়াবা কারবারিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চালানোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।