দেশের চতুর্থ টিকা হিসেবে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে ফাইজারের টিকা। বৃহস্পতিবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মহাপরিচালক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে গত ২৪ মে স্টিকার ইমারজেন্সি ইউজ অথরাইজেশনের জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন দেওয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সিএমসি পার্ট রেগুলারিটি স্ট্যাটাস) পর্যবেক্ষণ করে ২৫ মে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে ওষুধ ইনভেস্টিগেশনাল ভ্যাকসিন এবং মেডিকেল ডিভাইস মূল্য নির্ধারণ কমিটির মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২৭ মে টিকার অনুমোদন প্রদান করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফাইজার একটি জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন করে। এই টিকা ১২ বছরের উপরের বয়সীদের ব্যবহারের উপযোগী এটি সংরক্ষণ করতে হিমাঙ্কের নিচে ৬০ থেকে ৯০ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। তবে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৫ দিন সংরক্ষণ করা সম্ভব।
দেশের করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ নিয়ে চারটি টিকা ইমারজেন্সি ইউজ অথরাইজেশন প্রদান করেছেন। প্রথমেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্র্যাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। পর জরুরি ব্যবহারের জন্য রাশিয়ার উৎপাদিত টিকা ‘স্পুটনিক’ বিয়ের অনুমোদন দেয়। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তার পরপরেই অনুমোদন পায় চীনের উৎপাদিত সিনোফার্মের টিকা।