ঢাকারবিবার , ১৯ জুলাই ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভাতিজিকে ধর্ষণের মামলায় জামিন পেয়ে চাচার মোটরসাইকেল শোডাউন

প্রতিবেদক
সিএনএ

জুলাই ১৯, ২০২০ ২:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি গলায় ফুলের মালা পড়ে মোটরসাইকেল শোডাউন ও আনন্দ, উল্লাস করে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করেছে। ধর্ষক সোহেল নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের হেসিয়ারা পূর্বপাড়ার আবদুল মন্নানের ছেলে।

সে আপন ভাতিজিকে ধর্ষণের দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। জামিন নিয়ে এসে ধর্ষক সোহেল শুক্রবার (১৭ জুলাই) গলায় ফুলের মালা পড়ে এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন ও উল্লাস করে।

এদিকে আসামি গ্রেফতারের পর আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী সন্তান প্রসব করে। এর আগে গত (১৪ জুন) ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা জালাল উদ্দিন মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় আপন ভাই সোহেলের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর পরদিন (১৫ জুন) ভাতিজিকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে তার স্ত্রীর ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য কুমিল্লার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ওই ক্লিনিকে ৫/৬ দিন অবস্থান করেন। এ সুযোগে বাড়িতে কেউ না থাকায় কিশোরীর চাচা সোহেল কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। টানা চারদিন জোরপূর্বক ধর্ষণের পর বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য কিশোরীকে হুমকি দেয়। ভয়ে কিশোরী কাউকে জানায়নি। এরই মধ্যে তার মা অসুস্থতা নিয়ে মারা যান।

এরপর কিশোরী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ বসলে কিশোরী ওই ঘটনার জন্য চাচা সোহেলকে দায়ী করেন। গত জুন মাসের শেষ দিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে ওই কিশোরীর একটি বাচ্চা জন্ম হয়। পরবর্তীতে থানার ওসির মাধ্যমে বাচ্চাটিকে দত্তক দেয়া হয়। গত মঙ্গলবার ধর্ষক সোহেল কারাগার থেকে বের হয়ে শুক্রবার এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন করে। এতে ওই ভুক্তভোগী পরিবারের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবার মামলায় ধর্ষক চাচা সোহেলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে জামিন নিয়ে আসার বিষয়টি আদালত জানে। মোটরসাইকেল শোডাউন এবং উল্লাসের বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি।

তিনি বলেন, এর আগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা এবং সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয় ঢাকায়। সেই টেস্টগুলোর রিপোর্ট এখনও ঢাকা থেকে আসেনি। রিপোর্ট আসলে সেই অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুত্রঃ যমুনা টিভি অনলাইন

সম্পর্কিত পোস্ট
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com