নিজস্ব সংবাদ দাতা: ২৪ বছর আগের কথা এক অসহায় মুক্তিযোদ্ধার চাকরি কেড়ে নিয়ে পরিবার কে করেছিল দিশেহারা, সেই মুক্তিযোদ্ধার পরিবার কে চাকরি ফিরে দিতে যিনি নিরলস কাজ করেছেন তিনি হলেন রাঙ্গামাটি জেলার বাংলাদেশ আনসার ভিডিপির উপ- পরিচালক আব্দুল আউয়াল বাবু’র ঘটনার বিবরনে জানাগেছে, রাঙ্গামাটি জেলার হিল ভিডিপির পিসি ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা নেয়ামত আলী, এক স্ত্রী দুই ছেলে ও দুই মেয়ে কে নিয়ে অল্প টাকার বেতনের চাকরী দিয়ে সুন্দর সংসার চলছিল তাদের ১৯৯১ সালে বি এন পি ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৪ সালে মিথ্যা মার্ডার মামলা দিয়ে চাকরি টা কেড়ে নেয় বিএনপির উপজেলার সহ- সভাপতি ডাঃ মহব্বত আলী।পরে অনেক চেষ্টা করেও চাকরি আর ফিরে পাইনি মুক্তিযোদ্ধা নেয়ামত আলী, আল্লাহ্ র নিকট বিচার দিয়ে চুপ করে থাকেন নেয়ামত আলীর পরিবার, ছেলে মেয়েরা ছিল ছোট বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখতো তাদের কান্না আর বলতো বাবা, মা, আমরা যখন বড় হবো চাকরিটা ফিরে আনবো আমরা চাকরী করবো তোমরা কান্না করোনা। শুরু হয়ে গেল অভাবের সংসারে টানাপোড়ন বড় ছেলে এসএসসি পরিক্ষা দিল রেজাল্ট ভালো হয়নি বাবা মা বললো তোমাকে আর পড়তে হবে না ঘরে আরো ৩ জন আছে তাদের কে পড়াতে হবে কিছুদিন পরে ছোট ছেলে এসএসসি পরিক্ষা দিল তারও ফল একি রেজাল্ট ভালো না বাবা মা বললো আর পড়তে হবেনা চাকরি বাকরী কর পেট তো চালাতে হবে দুই ভাই মিলে কাজের সন্ধানে রাস্তায়, দিন আনে দিন খায় এমন সময় ছোট ভাই গেল সাধারন আনসার বাহিনিতে চাকরী করতে কিছুদিন চাকরি করার পরে মায়ের খুব অসুখ দেখতে এসে আর চাকরীতে যায়নি মা বাবার সেবা করতে লাগলো আর চিন্তা করতে লাগলো কিভাবে চলবে সংসার শুরু হল দুই ভাইয়ের এই কাজ সেই কাজ, ছোট ছেলে ভাল ইনকাম শুরু করলো ঠিক তখনি মহব্বত আলীর ছেলে মোবারক মদ গাজা সহ নানা নেশা করতে নিজের অপরাধ ঢাকতে মিথ্যা মামলা দিল ছোট ছেলের নামে ছোট ছেলে এলাকা ছেড়ে নিজ গ্রামের মায়া ছেড়ে মিথ্যা মামলার ভয়ে অনেক দুরে গিয়ে শুরু করলো লেখা পড়া ও ইনকাম দেখতে দেখতে অনেক দিন পার করলো বি এ পাশ করলো, শুরু করলো নতুন সংগ্রাম হল সমাজের ১০ জনের এক জন গুনি মানুষ, এই বার তার মনে পড়লো বাবার চোঁখের পানির কথা মিথ্যাচার করেছিল যারা তাদের কথা বাবার চাকরি ফিরে পেতে নতুন সংগ্রাম ধরলেন জেলা পরিচালক আব্দুল আউয়াল বাবুকে বললেন একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা কে বিনা কারনে চাকরি থেকে বাতিল করা হয়েছিল তার জন্য কিছু একটা করুন, জেলা পরিচালক মহোদয় গঠনা শুনে হতভাগ এত বড় অন্যায় কি করে হল, মুক্তিযোদ্ধা নেয়ামত আলীকে বললেন চাচা আপনি একটা দরখাস্ত দেন দেখি আমি কি করতে পারি, উনি দেখলেন আসলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নেয়ামত আলীর কোন দোষ নাই, উনি লেখলেন বিভাগিয় পরিচালক – ঢাকা মহাপরিচালক এর নিকট বীর মুক্তিযোদ্ধা নেয়ামত আলী কে মিথ্যা মামলা দিয়ে চাকরিটা কেরে নেওয়া হয়েছিল যা আইনের পরিপন্থী, এদিকে আল্লার বিচার গত ৩/৪ বছর আগে ডাঃ মহব্বত আলীর শরিলের এক সাইড অবশ হয়ে যায়, জেলা পরিচালক মহোদয় অনেক কষ্ট করে চাকরি ফিরে পাওয়ার ব্যাবস্হা করেন, কিন্তু চাকরী হবেনা কারন বয়স ৬০ পার হয়ে গেছে এতো কিছু করার পরে মনে আবারো কষ্ট আসলো জেলাপরিচালক মহোদয় বললেন চাচা আপনার ছেলে আছে কি মুক্তিযোদ্ধা উঃ দিলেন আমার দুইটি ছেলে আছে, পরিচালক মহোদয় বললেন আপনার ছেলে চাকরি টা পেলে আপনি খুশি হবেন কি নেয়ামত আলী বললো ঠিক আছে স্যার আমার বড় ছেলে কে দেন। কিছুদিনের ভিতরে বড় ছেলে কে আনসার মৌলিক প্রশিক্ষন দিয়ে তৈয়ার করলেন বড় ছেলে কে প্রথমেই নিয়োগ দিলেন সদস্যা হিসাবে, এলাকায় শুরুহল আবার নতুন খেলা অনেকেই মিথ্যা অভিযোগ করলো সবচেয়ে বেশি মিথ্যা অভিযোগ দিল ছাইফুল নামে এক জন এপিসি জাকে এক সময় ভাত তুলে খাওয়াইছেন নেয়ামত আলী দিয়ে ছিলেন আশ্রয়, বিয়ে করার অপরাধে বাড়ি থেকে বাহির করে দিয়েছিল তার পিতা নুর-ইসলাম, বউ কে সহ আশ্রয় দিয়েছিল নেয়ামত আলী। অবস্হা খারাপ দেখে জেলা পরিচালক মহোদয় এই জায়গার লোক অন্য জায়গায় বদলি করতে লাগলেন, কিছু দিন পরে বড় ছেলে কে পিসি হিসাবে নিয়োগ দেন এবং গত ২৫/০৭/২০১৮ তারিখ বিকাল বেলায় সমস্ত সৈনিক এর সামনে থানা আনসার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্জিনা বেগম পিসি রেং পরিয়ে দেন বড় ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে। এলাকার সাধারন মানুষ বলছে ২৪ বছর পরে হলেও আল্লাহ্ সঠিক বিচার করেছেন। যাদের নিকট থেকে জোর করে চাকরী টা কেরে নিয়ে ছিল আজ তারা আবার চাকরি টা ফিরে পেল। আর এই চাকরি ফিরে পাওয়ার মহা নায়ক হল বীর মুক্তিযোদ্ধা নেয়ামত আলীর ছোট ছেলে ও সত সাহসী ভাল মনের মানুষ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাংলাদেশ আনসার ভিডিপির উপ-পরিচালক আব্দুল আউয়াল বাবু।