কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরি নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ৫ স্কুল ছাত্রের মধ্যে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৪ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় জনতার সমন্বয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এ মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার মরদেহগুলো হচ্ছে আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনের ২ ছেলে আমিনুল হোসাইন এমশান ও মেহরাব হোসেন এবং শওকত আলীর ছেলে ফরহাদ বিন শওকতের। তার আগে বিকালে চকরিয়া মাতামুহুরি ব্রীজের নিচে গোসল করতে নেমে তারা নিখোঁজ হয়। এ রিপোট লেখাকালে (৮টা ১০মিনিট) আরও নিখোঁজ রয়েছে ২ শিক্ষার্থী। তবে উদ্ধারকর্মীরা অভিযান অব্যাহত রেখছেন। এ ঘটনার পর কয়েক হাজার শোকার্ত মানুষ মাতামুহুরী নদীর দু’পাড়ে অবস্থান করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে চকরিয়া গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলের অর্ধবার্ষিকীর পরীক্ষা শেষে স্কুলের ৬ ছাত্র মাতামুহুরি নদীর চরে ফুটবল খেলতে যায়। ফুটবল খেলা শেষে তারা নদীতে গোসল করতে নামে। ওই সময় সবক’জন ছাত্র নদীতে তলিয়ে যেতে দেখে জামি নামের একজন ছাত্র। জামি কোন রকমে সাঁতার কেটে উঠতে পারলেও এমশাদ, মেহেরাব, তুর্ণ, অর্ভি ও ফরহান নদী থেকে উঠতে পারেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিখোঁজ ৩ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। পাঁচ ছাত্রের মধ্যে সন্ধ্যায় ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনো রফিকুল ইসলামের ছেলে সায়ীদ জাওয়াদ অর্ভি ও কানু ভট্টাচার্যের ছেলে তূর্য ভট্টাচার্যের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে স্থানীয়রা। চকরিয়া মাতামুহুরীর চর জুড়ে এ ঘটনার পর থেকে হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারণা ঘটেছে।